বগুড়ার শিবগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী বিউটি বেগমের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার সঙ্গে থানা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিউটি বেগম।
চেয়ারম্যান প্রার্থী বিউটি বেগম জানান, শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টার দিকে পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ওষুধ কেনার জন্য তিনি গাড়ি থামান। এ সময় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। তাৎক্ষনিক তিনি থানায় ফোন করলে পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
বিউটি বেগম অভিযোগ করেন, ‘যারা হামলা করেছে তারা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও থানা সভাপতি মীর শাহে আলমের অনুসারী। মীর শাহে আলম জাপার সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নার শ্যালক। তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষে কাজ করছেন। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে।’
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি থানায় নেওয়া হয়েছে। গাড়ির চালক হামলাকারীদের চিনতে পেরেছেন। হামলায় খালিদ হাসান আরমান, মাহাদী হাসান তমাল, মীর মুন ও রায়হানুল হক রনির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালিদ হাসান আরমান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং মাহাদী হাসান তমাল ও মীর মুন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রায়হানুল হক রনি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।
থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ হাসান আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার সময় তিনিসহ অন্যরা বগুড়া শহরে অবস্থান করছিলেন। দল থেকে যেহেতু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, এ কারণে তারা বিউটি বেগমকে প্রতিহত করতে পারেন আশঙ্কায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
আরো পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, দুই পাক সেনাসহ নিহত ৭
এ বিষয়ে সদ্য বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইত্তেফাক/অনি