শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোল পেলো সেই ফাতেমা

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৯:৫৬

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের তত্বাবধানে জন্ম নেওয়া সেই পাগলীর কন্যা সন্তান ফাতেমা মা-বাবা পেলো। তার ঠাঁই হলো নিঃসন্তান প্রভাষক দম্পতির ঘরে।
 
সন্তান দত্তক নেওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশাল শিশু আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ ৭৪/১৯নং মিস পিটিশন কেসে এক লাখ টাকা বন্ডে গত ১৭ জুলাই আগৈলঝাড়া বেবি হোমে আশ্রিত শিশু ফাতেমাকে মু. নুরনবী সিদ্দিকী ও রেহানা আক্তার দম্পতির কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। 

আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে আগৈলঝাড়ায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমের উপ-তত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ সাড়ে ছয়মাস বয়সী শিশু ফাতেমাকে ওই দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় বরিশাল জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। 

মু. নুরুনবীর ঝালকাঠির বাসিন্দা ও বরিশাল একটি কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী গৃহিণী। ফাতেমাকে হাফেজ বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন এই দম্পতি।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৪ লাখ পরিবার পানিবন্দি, ৪’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
 
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা সদরের কমলাপুর এলাকায় প্রসব বেদনায় ছটফট করা মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই দিন সন্ধ্যায় কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ওই প্রসূতি মা। অনেক খুঁজেও শিশুটির মাকে না পেয়ে অভিভাবকের দায়িত্ব নেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
 
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৭ জানুয়ারি শিশুটিকে পটুয়াখালী সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিচয়হীন এই নবজাতকের পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ওসি তার মায়ের নামে শিশুটির নাম রাখেন ‘ফাতেমা রহমান।’ পটুয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হিসাব সহকারী সিদ্দিকুর রহমান ও হাসপাতালের একজন নার্স চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিশু ফাতেমাকে আগৈলঝাড়ায় বিভাগীয় বেবি হোমে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে ফাতেমা বেবি হোমে বড় হতে থাকে। 

ইত্তেফাক/অনি