শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সোনাইমুড়ির গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:০৪

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার ভানুয়াই এলাকায় অপহরণ শেষে দুই সন্তানের জননীকে (২৪) গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মাজহারুল ইসলাম শান্তকে (২২) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার ভানুয়াই মহল্লার আবদুল করিমের ছেলে।

মঙ্গলবার রাতে সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ এমদাদ হোসেন ঢাকার রূপনগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার সকালে তাকে সোনাইমুড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। এ গণধর্ষণ মামলায় ৪ আসামির মধ্যে শান্ত প্রধান আসামি।

এদিকে মামলা তুলে নিয়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করার জন্য একটি পক্ষ মামলার বাদীকে চাপ দিচ্ছে বেল অভিযোগ উঠেছে।

সোনাইমুড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মাজহারুল ইসলাম শান্ত ও তার সহযোগী জুবায়েরসহ অপর দুই আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে সোনাইমুড়ী থেকে ঢাকায় পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ দিন পর পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে শান্তর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকা রূপনগর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রূপনগর এলাকায় একটি ব্যাচেলর মেসে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করে। 

ওসি (তদন্ত) এমদাদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছে। গত বুধবার শান্তকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার ভানুয়াই এলাকায় ঘটনার শিকার স্বামী পরিত্যক্তা ২ সন্তানের জননী ওই নারী ওহাব কোম্পানীর বসত দালানের তৃতীয় তলার একটি মেসে রান্নার কাজ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষে তিনি গত ১৮ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮ টার সময় বাড়ি ফিরছিলেন।

বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ভানুয়াই গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মাজহারুল ইসলাম শান্ত (২০), মোঃ আলেয়ার ওরফে আলমের ছেলে জুবায়ের (২৪) ও অজ্ঞাত দুই যুবক তার পথ রোধ করে তাকে অপহরণ করে। এরপর ভানুয়াই মহল্লার আবিদ মিয়ার কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে একটি জমিতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষন শেষে  তার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তিনি ২০ আগস্ট রাতে থানায় গিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার ও মামলার বাদী ওই নারী বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তি মামলা তুলে নিয়ে বিষয়টি  মীমাংসা করার জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, ওই পক্ষটি বলে আসছে এলাকায় বসবাস করতে হলে সমঝোতার বিকল্প নেই। এমতবস্থায় তিনি মামলা করে বেকায়দায় পড়েছেন!

আরও পড়ুন: গৌরনদীতে মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকের জামিন লাভ

সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ বলেন, 'ওই নারীর ভয়ের কোন কারণ নেই। পুলিশ তার পাশে রয়েছে। মামলার ৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৩ আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।

ইত্তেফাক/নূহু