শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হ্যারি-মেগানের জয়!

আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০২:৪৯

ব্রিটেনে রাজপরিবারের দ্বন্দ্বে জয় পেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগান মার্কেল। এমনটাই মনে করেন রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কারো মতে, এই দ্বন্দ্ব মিটতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। আবার কেউ বলছেন, তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আশা করেছেন, সমস্যার সমাধান হবে। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগানের নিরাপত্তার অর্থ কারা দেবে সেই বিষয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খবর ডেইলি মেইল ও সিএনএনের

সোমবার সার্ন্ডিংহাম রাজপ্রাসাদে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নেতৃত্বে সমস্যা সমাধানে একটি বৈঠক হয়। ঐ বেঠকে কানাডা থেকে প্রিন্সেস মেগান মার্কেলের ভিডিও কলে রানির সঙ্গে কথা বলার কথা ছিল। কিন্তু লাইন হ্যাক করে কেউ কথা শুনে ফেলতে পারেন সেজন্য মেগান ফোনও করতে পারেননি। তবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় মেগান বলেছেন, কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি।

ডেইলি মিররের সাংবাদিক রাসেল মায়ারস বলেছেন, রানি যে নেতা সেটা তিনি দেখিয়েছেন। তিনি প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের ঘোষণায় দুঃখ কিংবা হতাশ হলেও সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই রেখেছেন। ডেইলি এক্সপ্রেসের ফিল ড্যাম্পায়ার বলেন, এটা ভুল করার অবকাশ নেই যে, হ্যারি এবং মেগানই জয় পেয়েছেন। তার মতে, রানি হয়তো বিষয়টি পছন্দ করেননি, তারপরও তিনি সমাধানের চেষ্টা করছেন। আর রানি হ্যারিকে পছন্দ করলেও এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন। রাসেল মায়ারস বলেন, আমরা যদি বিষয়টাকে এভাবে ধরি নিই যে, তারা তার (রানি) মাথায় বন্দুক ঠেকালেন এবং রানি তাদেরকে সেটা দিয়ে দিলেন। রানি বলেছেন, তাদের (হ্যারি ও মেগান) আকাঙ্ক্ষার প্রতি তিনি সমর্থন জানিয়েছেন। এর বিপরীতটাও হতে পারে। তিনি বলেন, হ্যারি জানেন, তিনি কী করেছেন। ব্রিটিশরা হয়তো আর কখনো অস্ত্র হাতে হ্যারির প্রত্যাবর্তন দেখতে চাইবে না। দ্য সানের টম স্লেটার বলছেন, উদারপন্থিরা মনে করছেন, প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্সেস মেগান বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে ১২ কোটি টাকা লোপাট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা প্রকাশ করেছেন, রাজপরিবারের সংকটের সমাধান ভবিষ্যতে হবে। আর এটা নিয়ে রাজনীতিকদের কথা বলার প্রয়োজন নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি ও মেগানের নিরাপত্তার ব্যয় কারা বহন করবে তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আর রাজপরিবারের এ বিষয়ে এখনো অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাকি আছে।গত বুধবার আকস্মিকভাবেই হ্যারি ও মেগান পরিবারের ‘সিনিয়র সদস্যপদ’ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ‘ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স’ উপাধি ধরে রাখতে চাইলেও রাজপরিবারের গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে নিজেদের মতো রোজগার করতে চান বলে ঘোষণা করেন তারা। তাতেই উদগ্রীব হয়ে পড়েন রাজপরিবারের সদস্যরা। এরপর সোমবার বৈঠকে রানি সম্মতি দেন যে, হ্যারি ও মেগান অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য রাজপরিবারের বাইরে সময় কাটাতে পারবেন।

ইত্তেফাক/ইউবি