বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোটের ফল প্রমাণ করে, মানুষ ভালোর সঙ্গেই থাকে

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৮

রামলীলা ময়দানে বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে গতকাল রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ছয় জন মন্ত্রী। টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এই জয় তিনি জনগণকে উত্সর্গ করেছেন।

তিনি বলেছেন, সমালোচনা করা সহজ। কিন্তু ভালো কাজ করা কঠিন। আম আদমির সরকার দিল্লিতে ভালো কাজ করেছে, যার সুফল জনগণ পেয়েছে। দিল্লি বিধানসভা ভোটের ফল এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ ভালোর পক্ষেই থাকে। তার দল যত বার সুযোগ পাবে তত বার আমজনতার জন্য ভালো কাজই করে যাবে। নিন্দুকেরা যতই নিন্দা করুন, আমাকে মানুষের জন্য কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে রাজ্যের ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আর বাকি আটটিতে জেতে বিজেপি প্রার্থীরা। বিপুল জয় নিয়ে রবিবার ঐতিহাসিক রেড ফোর্টের সামনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কেজরিওয়াল। এদিন শপথ নেওয়ার আগে এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নিতে যাচ্ছি। অনুগ্রহ করে রামলীলা ময়দানে এসে আপনাদের সন্তানকে আশীর্বাদ করুন’।

দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে আন্না হাজারের সঙ্গে রামলীলা ময়দানে অনশনে বসে সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১২ সালে প্রথমবার নির্বাচনে জিতে এই ময়দানেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের শপথ অনুষ্ঠানটিও সেখানে অনুষ্ঠিত হয়।

এই শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। মোদি নিজের নির্বাচনি আসন বারানসি সফরে গিয়েছিলেন। বিনামূল্যে জনগণের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দিয়েই বাজিমাত করেছেন কেজরিওয়াল। জনগণকে এত সুবিধা দেওয়ার সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। জবাবে কেজরিওয়াল বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু অমূল্য, সৃষ্টিকর্তা তা বিনামূল্যেই দিয়েছেন। সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেব কেন? হাসপাতালে বিনামূল্যে কেন চিকিত্সা পাবে না মানুষ? কেজরিওয়াল দিল্লিবাসীকে ভালোবাসেন, দিল্লিবাসীও কেজরিওয়ালকে ভালোবাসেন, এই ভালোবাসার কোনো মূল্য হয় না।’

আনন্দবাজার জানায়, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পরিবর্তে বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ, রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, চিকিত্সক, মেধাবি ছাত্র, অটোচালক এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

ইত্তেফাক/আরকেজি