শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা মহামারিতে এক রাতেই দুই পাথরে কোটিপতি

আপডেট : ২৮ জুন ২০২০, ১৩:২১

মাত্র দুটি পাথর। এই পাথর দুটিই বদলে দিয়েছে এক ক্ষুদ্র খনি ব্যবসায়ীর জীবন। তাও আবার একরাতেই।

ঘটনাটি ঘটেছে তানজানিয়ায়। ৫২ বছর বয়সী দেশটির ক্ষুদ্র খনি ব্যবসায়ী সানিনিউ কুরিয়ান লাইজার এই দুটি পাথরের সন্ধান পান।

তিনি আবার ৩০-এর বেশি সন্তানের বাবা। পড়াশোনা করতে পারেননি এই ব্যবসায়ী। তাই নেমে পড়েন খনি ব্যবসায়ে।

তানজানিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান এই দুটি পাথর। নাম তানজানাইট। এগুলো সরকারের কাছে বিক্রি করার পর কোটিপতি হয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

দেশটির উত্তরাঞ্চলে মানায়ারা পাহাড়ে এই পাথরের সন্ধান পান লাইজার। এর একটির ওজন ৯.২৭ কেজি। আরেকটির ওজন  ৫ কেজির মতো।

বুধবার পাথর দুটি ৭.৭ বিলিয়ন তানজানিয়ান সিলিংয়ে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৯ কোটি টাকা। পাথর দুটি কিনেছে দেশটির রত্নপাথর সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়। 

এগুলো দিয়ে অলংকার বানানো হয়। বেগুনি-নীল বর্ণের হয়ে এগুলো ঝকঝক করতে থাকে।

পাথর বিক্রি অনুষ্ঠানে খনি মন্ত্রী ডট্টো বিটেকো বলেন, ‘পাথরগুলো দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়।’

২০১৫ সালে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জন মাগুফুলি। তিনি দেশটির ভবিষ্যৎ বদলে দেওয়ার জন্য ছোট ছোট খনি ব্যবসায়ীকে অনুমোদন দেন খনিজ সম্পদ আহরণের।

এদিকে হঠাৎ ধনী বনে যাওয়া লাইজার এই পাথর পেয়ে খুব খুশি। তিনি জানিয়েছেন, একটি বড় গরু জবাই করে সবাইকে খাওয়াবেন। আর এই অর্থের একটি বড় অংশ সমাজের উন্নয়নে খরচ করবেন।

লাইজার জানান, তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি। তাই বাড়ির পাশে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন। যাতে করে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা এখানে পড়াশোনা করতে পারে। এ ছাড়া একটি বড় শপিংমল গড়ে তুলবেন বলেও জানান।

লাইজার বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে আগে এমন তানজানাইট পাচার হতো। কিন্তু খনিজ সম্পদ আহরণের অনুমতি দেওয়ায় এখন তা বন্ধ হয়েছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী পাথর সংগ্রহ হচ্ছে। এতে করে সরকার ট্যাক্স পেয়ে লাভবান হচ্ছে।’ সূত্র: জার্কাতা পোস্ট

ইত্তেফাক/জেডএইচ