যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তৃতীয়বারের মতো বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভে বেসামরিক অস্ত্রধারীদের গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। জরুরি অবস্থা জারি এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেও বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে আহত জ্যাকব ব্লেক আর হাঁটতে পারবেন না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের
কেনোশা পুলিশ বিভাগ গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভে গুলির শব্দ শুনেছেন। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা খুব গুরুতর নয়।
কেনোশা কাউন্টি শেরিফ ডেভিড বেথ নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, একদল অস্ত্রধারীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলির ঘটনা ঘটেছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। ঐ অস্ত্রধারীরা তাদের দোকানপাট রক্ষায় গুলি করেছিল। ব্লেককে গুলির ঘটনার পর কেনোশা, তারপর লস এঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক, মিনেপোলিসে বিক্ষোভ শুরু হয়। কারফিউ উপেক্ষা করে মানুষজন রাস্তায় নামে। অনেকগুলো সরকারি ভবনে আগুন ধরানো হয়। ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
গভর্নর টনি এভার্স জরুরি অবস্থা জারি করে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন। ন্যাশনাল গার্ডের সংখ্যাও দ্বিগুণ করা হয়েছে। এভার্স বলেছেন, আমরা কিছুতেই এই বর্ণবাদ ও অন্যায় বরদাস্ত করতে পারি না। কিন্তু একই সঙ্গে এই ধ্বংস ও ক্ষতির পথও সমর্থন করতে পারি না। পুলিশের সাতটি গুলি খাওয়ার পর জ্যাকব ব্লেকের অবস্থাও ভালো নয়। ব্লেক পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সম্ভবত আর কখনো হাঁটতে পারবেন না। ব্লেক যদি আবার হাঁটতে পারেন, তাহলে তা অবিশ্বাস্য ঘটনা হবে।