ভেনিজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের প্রবেশে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার দুই সপ্তাহ পর এই ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।
নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য, পুলিশ ও সেবিন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিরোধী দলের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিষদে তাদের প্রবেশে বাধা দেয়।
ভেনিজুয়েলায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ ব্যাপারে তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতের প্রতি আহ্বান জানানোর পর আইনসভার কার্যক্রম বন্ধ করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
আইনপ্রণেতা ম্যানুয়েলা বলিভার এএফপিকে বলেন, ‘কংগ্রেস ভবনের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরক পেতে রাখা হয়েছে, এমন অজুহাতে তারা আমাদের প্রবেশে বাঁধা দেয়। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমাদেরকে ঘিরে রাখে।’
সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো। তিনি বলেন, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে জাতীয় পরিষদকে দখল করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল মাদুরোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে গুয়াইদো সেনাবাহিনীকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে। সশস্ত্র বাহিনীর মাত্র ৩০ জন সদস্য তার আহ্বানে সাড়া দেন। এতে দ্রুত শক্তি প্রয়োগের মহড়া শুরু হলে বিক্ষোভকারী ও মাদুরোর অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দু’দিনের মধ্যেই গুয়াইদোর পক্ষের সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এরপর থেকেই গুয়াইদো ও তার দলের নেতারা ব্যাপক চাপে রয়েছেন।
ইত্তেফাক/কেআই