শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

আপডেট : ১৭ জুন ২০১৯, ২১:৩০

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'সফল' বৈঠকের পরে অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার রাতে জেনারেল বডির বৈঠকের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারীরা। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

অবিলম্বে অন্দোলনরত রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে টানা ৭ দিন পরে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলতে চলেছে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ।

সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ‘নবান্নে’ গিয়ে বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁকে বলেন, 'একবার পরিবহকে দেখতে যান আপনি।' সঙ্গেসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'আমি তো যাবই। তোমরা কর্মবিরতি তুলে নিলেই আমি ওঁকে দেখতে যাব।' কিন্তু অতটা সময়ও আর ব্যয় করেননি মুখ্যমন্ত্রী। 

নবান্নের বৈঠক থেকে ফিরে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা যখন জিডি বৈঠকে ব্যস্ত, তখনই সন্ধ্যে ৭.৩০ মিনিট নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন মল্লিকবাজারের ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস, কলকাতায়। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। 

উল্লেখ্য, এনআরএসের ঘটনায় পরিবহ মুখোপাধ্যায় আহত হওয়ার পরপরই সরকারি উদ্যোগেই তাঁকে ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস ভর্তি করা হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।

আরও পড়ুন: মোদির কাছে স্বপরিবারে আত্মহত্যার আর্জি কৃষকের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন বৈঠকে জানান, তিনি সবসময় খোঁজ রেখেছেন পরিবহর। তারপরই তাঁকে দেখতে যাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই তিনি জানান, কর্মবিরতি উঠলেই তিনি চলে যাবেন পরিবহর কাছে। কিন্তু সেই সময়টুকুও আর নিলেন না তিনি। তার আগেই পৌঁছে গেলেন পরিবহকে দেখতে।

সোমবার রাতে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দুই জুনিয়র ডাক্তারকে মারধর করা হয়। সেদিন রাত থেকেই ওই হাসপাতালে টানা কর্মবিরতি চলে।

ইত্তেফাক/টিএস