আদালতের আদেশ নিয়ে এক ব্যবসায়ী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদন মুছে ফেলার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে মামলার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। গতকাল বুধবার তাদের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরোনো সংবাদ মুছে ফেলার জন্য চাপ দেওয়ার কৌশল হিসেবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শীর্ষ চার সম্পাদকের নামে বিভিন্ন জেলা থেকে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিশ সোমবার পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মানহানির অভিযোগে মামলা করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এসব চাপে আমরা নতি স্বীকার করব না। ভুল হলে আমরা স্বীকার করব, সংশোধন করার প্রয়োজন হলে সংশোধন করে দেব, কিন্তু চাপের কাছে নতি স্বীকার করে আমরা কোনো খবর তুলে নেব না। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিডিনিউজের হেড অব ইংলিশ নিউজ অরুণ দেবনাথ, বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির এবং বার্তা সম্পাদক মুনীরুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, গত এক যুগে বিভিন্ন সময়ে একজন ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে বিভিন্ন মামলা হয়েছে, সেসব মামলার কার্যক্রম, রায় ও আদেশ নিয়ে অন্যসব সংবাদ মাধ্যমের মতো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেসব মামলায় তারা অনেক আগেই খালাস পেয়ে গেছেন। কিন্তু ইন্টারনেটে পুরোনো সেসব মামলার খবর থেকে যাওয়ায় ব্যবসার সমস্যা হচ্ছে বলে তারা দাবি করছেন। সে কারণে তারা চান, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পুরোনো প্রতিবেদনগুলো সরিয়ে ফেলা হোক। যেসব প্রতিবেদন তুলে ফেলার জন্য জেলায় জেলায় মামলা করার এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেসব প্রকাশিত হয়েছিল ব্যবসায়ী ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলায় আদালতের আদেশ নিয়ে। ২০০৭ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, সেসব তারিখে তাকে বা তার পরিবারকে নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। কিন্তু কোনো খবরের কোনো নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে কোনো আপত্তির কথা তারা বলছেন না। যারা উকিল নোটিশ পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের ডা. ইকবালের বন্ধু বা সুহূদ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে এইচ বি এম ইকবাল এবং তার পরিবারের ‘সম্মানহানি’ করা হয়েছে ।