দেশের প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষককে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলে সব বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের টিকা নিতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষকই টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন। অনেকেই টিকা নিয়েছেন। কিন্তু এখনো বিভিন্ন কারণে অনেক শিক্ষক নিবন্ধন করতে পারেননি বলে জানা গেছে। যারা এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসেননি, তারা দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন ও টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আদেশ বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঐ আদেশে বলা হয়েছে, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার জন্য সরকার আন্তরিক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার নামের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ পর টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। সব শিক্ষক-কর্মকর্তা নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে টিকা নেবেন।
কারা টিকা নিচ্ছেন, কারা নিচ্ছেন না, টিকা নেওয়ার পর শিক্ষকদের কী অবস্থা এসব বিষয় জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ডিপিই থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ১ হাজার ৮৮৬ জনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দিতে তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা এনআইডি নম্বর চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এসব তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের এনআইডি নম্বরের তালিকা ইমেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
এর আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সবাইকে দ্রুত করোনা ভাইরাসের টিকার নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। একইসঙ্গে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশে বিভিন্ন স্তরের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
ইত্তেফাক/এমএএম