বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইউপি নির্বাচন

শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৩৫

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১২

শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের ১টি ও আংগারিয়া ইউনিয়নের মোট ৩টি ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৮টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের উপরগাঁও হাসেম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী জামাল হোসেন ফকির ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভোট শুরুর পূর্বে সকাল ৭টায় ভোট কেন্দ্র দখলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মেম্বার প্রার্থী মোশারফ দেওয়ানের স্ত্রী শারমিন আক্তার, কুলসুম বেগম, আকাশী, পারু বেগম, মোকলেস ব্যাপারী, ইদ্রিস ব্যাপারী, আমেনা বেগম, খতেজা বেগম, গিয়াস উদ্দিন, আমির দেওয়ান, ইমরান বেপারী, দুলাল মিয়া, মানিক দেওয়ান, মফিজ দেওয়ান, মোক্তার দেওয়ানসহ ২৫ জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানে এ ভোট কেন্দ্রের আশে পাশে উভয় পক্ষের ৮টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

এছাড়া তুলাসার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দশরশি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে ডিবিসি টিভি’র শরীয়তপুর প্রতিনিধিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নৌকার প্রার্থী জামাল হোসেন ফকিরের সমর্থকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এছাড়াও আংগারিয়া ইউনিয়নের তুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাতাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরচটাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। 

পালং মডেল থানার (শরীয়তপুর সদর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, কেন্দ্রের পাশে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যাই। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য যারা ছিলেন তারা কেন্দ্র রক্ষা করেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছে। আর ওই হামলার ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

 

ইত্তেফাক/এমএএম