মৌলভীবাজারের বড়লেখায় তৃতীয় ধাপের বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জোবায়ের হোসেন ১ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
গত ২৮ নভেম্বর উপজেলার দশটি ইউপিতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে দশটি ইউপির পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপির একজন) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বর্ণি ইউপিতে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) জয়নাল আবেদীন আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৮ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত আহমদ (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী জোবায়ের হোসেন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১।
নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উপজেলা বর্ণি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৬৫২। ভোট পড়েছে ৯ হাজার ৯২৪ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. জোবায়ের হোসেন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২১১। যা মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। জামানত ফেরত পেতে তার ১ হাজার ২৪০ ভোটের প্রয়োজন ছিল।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান বুধবার সন্ধ্যায় জানান, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ওই প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি। এ কারণে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।