মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ২০ মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লুমিনারি’ এর কার্যক্রম। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদানের লক্ষে ২০১৫ সালে লুমিনারির যাত্রা শুরু হয়। এটি পরিচালনা করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে ৫টা পর্যন্ত চলে করোনা পরবর্তী প্রথম দিনের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয় ৭৮ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থী।
এদিকে করোনার পর পড়ালেখা করতে এসে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালেহা বেগম জানান, দীর্ঘদিন পর পড়তে এসেছি ভাইয়া-আপুদের কাছে। খুব ভালো লাগছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মারজাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমরা বাসায় ছিলাম। লুমিনারি আবার চালু হওয়ায় আবার আমরা পড়তে এসেছি। নিয়মিত পড়ানোর পাশাপাশি কিভাবে ভালো একজন মানুষ হওয়া যায় সে বিষয়গুলোও লুমিনারির ভাইয়া-আপুরা আমাদের শেখান।
সংগঠনটির সভাপতি শামীম তাজ জানান, করোনা মহামারির কারণে গত ২০ মাস লুমিনারির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেশ উৎসাহের সঙ্গে আজকের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে আনন্দিত আমরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসিক বিকাশ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ‘প্রতিটি শিশু মানুষ হোক আলোর ঝর্ণাধারায়’ স্লোগানে ২০১৫ সালে লুমিনারির যাত্রা শুরু হয়। শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদানের পাশাপাশি খেলাধুলা, বিনোদন, উপহার ও খাবার বিতরণ করে থাকে সংগঠনটি।