শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সহপাঠীকে মোবাইল না দেওয়ায় প্রাণ গেলো শান্তর: পুলিশ 

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:৫০

মোবাইলে গেম খেলতে না দেওয়ায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় শান্ত হাওলাদার (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার সহপাঠী। এ ঘটনায় আবির হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছেন ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মেহেদি হাসান। 

নিহত শান্ত হাওলাদার নদমূলা গ্রামের মো.লোকমান হাওলাদারের ছেলে এবং নদমূলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া আবির একই গ্রামের কালাম হাওলাদারের ছেলে এবং নিহত শান্তর সহপাঠী। 

জানা যায়, শান্ত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) নদীতে মাছ ধরে দুপুরে বাসায় আসে। দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। নিখোঁজের এক দিন পর শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয়রা উপজেলার ২নম্বর নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের নদমূলা গ্রামে জাকারিয়া হাওলাদারের বাড়িসংলগ্ন একটি খালে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) মো.মেহেদি হাসান জানান, এ ঘটনায় নিহত শান্তর বাবা শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামী করে ভাণ্ডারিয়া থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবির হোসেন নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানায়, গেম খেলার জন্য শান্তর কাছে মোবাইল ফোন চেয়েছিলো সে। শান্ত তাকে ফোন দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে সে নিজের গেঞ্জি দিয়ে শান্তর গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ খালের কাদা মাটির মধ্যে আংশিক পুতে রাখে। তবে এ ঘটনায় আবিরের অন্য কোনো সহযোগীদের নাম পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবিরকে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এর আগে শুক্রবার ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, শান্ত হাওলাদার এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

ইত্তেফাক/ইআ