ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে দুবলারচরে প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে। চর ডুবে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ মাছ সাগরে ভেসে গেছে। শুটকি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জেলেরা। বৃষ্টির কারণে তাদের সেই স্বপ্নও ভেসে গেছে।
দুবলার চরের মাঝেরকেল্লা থেকে শরণখোলার জেলে ইউনুস আলী ফকির এবং খুলনার মৎস্যজীবী ফরিদ মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, প্রবল বৃষ্টিতে মাঝেরকেল্লায় কোটি টাকার শুটকি ভিজে নষ্ট হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ মাছ সাগরে ভেসে গেছে।
আলোরকোল থেকে জেলে সমিতির সেক্রেটারি রামপালের তাহের আলী জানান, আলোরকোলে জেলেদের মাছ শুকানোর মাচা ৩/৪ ফুট সাগরের পানির নিচে ডুবে গেছে। জেলেদের থাকার ও রান্নার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন।।
দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ দুবলারচরে জেলেদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলেপল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, জেলেদের মাছ নষ্ট হওয়ায় বনবিভাগ রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়েছে। নভেম্বর মাসে ৫৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও ডিসেম্বর মাসের লক্ষ্যমাত্রা ৯৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিতে আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া ও শ্যালারচর পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টিতে জেলেদের প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে।