সংকটে আছে তুরস্কের অর্থনীতি। যার কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নীতি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জি নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে লিরার দাম সর্বোচ্চ কমেছে। ইতিহাসে লিরার দাম আগে কখনো এতো কমেনি। গত এক মাসে তুরস্কে মুদ্রাস্ফিতী ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব কারণে ক্রমশ ফুসে উঠছে তুরস্কের জনগণ। কারণ মুদ্রাস্ফিতীর কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। এতে তুরস্কের বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। এসময় তারা এরদোয়ানের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জনগণ এখনই বুঝতে শুরু করেছে যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে এরদোয়ানকে তার নীতির পরিবর্তন আনতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে তুরস্কের নতুন প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।
অন্যদিকে, তুরস্কের ছোট ব্যবসায়ী ও কৃষকদের নিয়ে দেশটির সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। তুর্কি সরকারের মনোযোগ দামী কাঁচামাল কিনে শুধু পণ্য উত্পাদনের দিকে।
সাম্প্রতিক খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। অনেকেই খেতে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছেন। ঋণের বোঝায় পড়ে আছেন অনেকে। কিন্তু এরদোয়ান সরকার এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।