বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইত্তেফাক আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুত হয়নি: জবি উপাচার্য

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১০
বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জাড়িয়ে আছে ঐহিত্যবাহী পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের নাম। স্বাধীনতার পর সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এই পত্রিকা। দেশের গণমানুষের পত্রিকা ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুত হয়নি। ইত্তেফাক গঠনমূলক সমালোচনা ও সত্য উদঘাটনে সাহসী ভূমিকা বজায় রাখছে।’
 
ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি শুনে খুব আনন্দিত হচ্ছি যে-দৈনিক ইত্তেফাক ৬৯ বছরে পা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার পক্ষ থেকে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
 
ইত্তেফাক তার ভূমিকা পালনে সবসময় সচেষ্ট থেকেছে উল্লেখ করে জবি উপাচার্য বলেন, ‘পত্রিকা আসলে সমাজের দর্পণ। আমরা পত্রিকার মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত তথ্য জানতে পারি। সামাজিক সংবাদ, রাজনৈতিক সংবাদ, বিশ্বব্যাপী যে সব ঘটনা ঘটছে সেগুলোর সংবাদ আমরা পত্রিকার মাধ্যমেই জানতে পারি।’  
 
দৈনিক ইত্তেফাক। ছবি: আর্কাইভ
বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে ইত্তেফাকের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকে দেখছি বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে ইত্তেফাকের অবদান। ১৯৭১ সালে আমি যখন নবম শ্রেণির ছাত্র, তখন থেকেই দেখছি বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইত্তেফাকের অভূতপূর্ব ভূমিকা।’
 
এই শিক্ষাবিদ  বলেন, ‘দেশ গঠনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের একটা বিশাল অংশ কারাবরণ করেছেন। সেই সময়ে জনমত গঠনে ইত্তেফাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।’
 
এ সময় দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
 
আর সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর একজন প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিলো দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। দেশ সৃষ্টির পেছনে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে মানিক মিয়ার যে অবদান সেটি কোনভাবেই ভোলার না।’
 
দৈনিক ইত্তেফাক। ছবি: আর্কাইভ
 
জবি উপাচার্য বলেন, ‘ছোট সময় থেকে আমি লক্ষ করেছি একটা পত্রিকা সত্য প্রকাশ করবে। আবার সেই পত্রিকার নিজস্ব ধ্যান ধারণাও থাকবে। নিজস্ব বক্তব্য থাকবে। সেগুলো কিন্তু সত্যকে ছাপিয়ে নয়। আমারা দেখেছি অনেক পত্রিকা প্রথমেই নেগেটিভ নিউজ দিয়ে শুরু করে। আমি দেখেছি ইত্তেফাক এখনও পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনার পর সত্য উদঘাটন করে এবং এই কাজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করে।’
 
এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ‘আশা করি পত্রিকার মূল চালিকা শক্তি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার আদর্শ তার পরবর্তী প্রজন্ম ধরে রাখবে। সেই আদর্শকে ধারণ করে তারা ভূমিকা পালন করে যাবে। তাতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।’
 

 

 
 
ইত্তেফাক/এনই/এএএম