প্রথম টেলিভিশন তৈরি হয়েছিল ১৯২০ সালের শেষের দিকে। তবে শুরুর দিকে তা ছিল কেবল পরীক্ষামূলক স্তরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঘরে ঘরে সাদা-কালো টিভি স্থান পায়। এরপর থেকে এতদিন পর্যন্ত টেলিভিশনে শুধুমাত্র দর্শন ও শ্রবণ - এই দুই ইন্দ্রিয় দিয়েই উপভোগ করা যেত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার আরেকটি ইন্দ্রিয়কেও এবার স্পর্শ করতে চলেছে টেলিভিশন। সম্প্রতি এমনই একটি টিভি আবিষ্কার করেছে জাপান।
সম্প্রতি দেশটির একজন অধ্যাপক এমন এক প্রোটোটাইপ টেলিভিশন বানিয়েছেন। যা মানুষের স্বাদ ইন্দ্রিয়কেও তৃপ্ত করতে সক্ষম। অর্থাৎ টেলিভিশনের পর্দায় কোনো খাবারের ছবি দেখালে, দর্শকরা সেই টিভির পর্দায় জিহ্বা লাগালে ওই খাবারের স্বাদ পেতে সক্ষম হবেন। এই টেলিভিশন মানুষের টিভি দেখার অভিজ্ঞতা আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিস্ময়কর এই টেলিভিশনটি তৈরি করেছেন জাপানের মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোমি মিয়াশিতা। তিনি তার নতুন আবিষ্কৃত এই টিভির নাম দিয়েছেন ‘টেস্ট দ্য টিভি’ বা সংক্ষেপে ‘টিটিটিভি’।
মূলত টিটিটিভিতে ১০টি স্বাদের ক্যানিস্টারের একটি ক্যারোসেল ব্যবহার করা হয়েছে। ক্যারোসেল থেকে বিভিন্ন কম্বিনেশনে ওই ১০টি স্বাদ স্প্রে করে কোনো নির্দিষ্ট খাবারের স্বাদ তৈরি হয়। সেই স্বাদের নমুনা একটি ফ্ল্যাট টিভি স্ক্রিনের ওপর হাইজেনিক ফিল্মে রোল করা হয়। ফলে দর্শকরা টিভি স্ক্রিন চাটলেই ওই খাবারের স্বাদ পাবেন।
অধ্যাপক হোমি মিয়াশিতার দাবি, যন্ত্রটি তৈরির ক্ষেত্রে তার লক্ষ্য ছিল ঘরে বসেও যেন মানুষ বিশ্বের অন্য প্রান্তের কোনো রেস্তোরাঁয় খাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন, সেটা সম্ভব করা। আর এই কাজে তাকে সহায়তা করেছেন মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থীর একটি দল।
এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করতে প্রায় ১ লাখ জাপানি ইয়েন (৮৭৫ মার্কিন ডলার) খরচ হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭৫ হাজার টাকা।