শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পশ্চিমের ৬ জেলায় পেঁয়াজ চারা সংকটের আশঙ্কা

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৩১

পশ্চিমের ৬ জেলায় পুরোদমে পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। তবে এবার দুদফা বৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে চারা সংকট হতে পারে। বাজারে চড়াদামে পেঁয়াজ চারা বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা, মাগুরার শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও সদর উপজেলা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। আর মেহেরপুর জেলায় সুখসাগার নামে একটি ভারতীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। এ জাতটির ফলন বেশি হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বাবলু মিয়া জানান, তাদের এলাকায় সুখসাগর পেঁয়াজ বীজ ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি দেড়শো মণ ফলন হয়।  কোনো কোনো জমিতে ১৮০ মন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা গোবিন্দপুর গ্রামের সালামত আলী জানান, এবার ২২ কাঠা জমিতে মুড়িকাটি পেঁয়াজ চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৮০ মন ফলন হবে। দামও ভাল। আর হালি পেঁয়াজের চাষ সবে শুরু হয়েছে।

একই উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, এবার পেঁয়াজের চারার দাম চড়া। প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ চারার অভাব আবাদ ব্যাহত হতে পারে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জাহেদুল আমিন বলেন, পেঁয়াজের চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। বাজারে দাম ভাল থাকায় চাষি পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছে। বৃষ্টিতে পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। চারার অভাব দেখা দিতে পারে। 

 

 

ইত্তেফাক/ইউবি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন