গত ৯ জানয়ারি বিকেল অনুমান ৪ টায় সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীনি একটি ভবন থেকে সন্দেহজনকভাবে চোর ভেবে আটক করে ভিকটিম রুবেল কে । চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য ভিকটিমের হাত রশি দিয়ে বেঁধে দেয় এবং একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এর ফলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করলে একসময় মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ও আব্দুল মন্নান কে গ্রেফতারের পর এমনটাই বের হয়ে এসেছে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি ) ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকা এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে দারুস সালাম থানার ভিকটিম রুবেল হত্যা মামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এ ২ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ বিষয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০ টায় ভিকটিম রুবেল মিয়া লালমনিরহাট সদর এলাকা হতে নিখোঁজ হয়। পরে ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় দারুস সালাম থানার সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ৫ম তলার ৮১৬ নং কক্ষ থেকে এ ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের চাচা ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আরও জানান, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল জলিল ও আব্দুল মন্নানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুল জলিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গত ৯ জানয়ারি বিকেল অনুমান ৪ টায় ভিকটিমকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীনি একটি ভবন থেকে সন্দেহজনকভাবে চোর ভেবে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা ইতোপূর্বে চুরি যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য ভিকটিমের হাত রশি দিয়ে বেঁধে দেয় এবং একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এর ফলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করলে গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
ইত্তেফাক/কেএইচ