রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়ায় জেরে স্বামী সোলাইমান মিয়ার (২৪) গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী। এসময় আহত সোলাইমানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান। গোপনাঙ্গ সোলাইমান মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দমদমা বাজারের পাশে শিমুল পাড়া গ্রামের ফুলবাবু ওরফে ফুলু মিয়ার ছেলে। সে ট্রাক ড্রাইভারের হেলপার হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেলপারের কাজ করতো।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার রাহেনা বেগম নামে এক নারীর সাথে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে উঠে সোলাইমানের। দুই বছর আগে মাগুরা জেলার ওই নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সে। বিয়ের এক বছর পর সোলাইমান তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে নিয়ে এসে সংসার করতে থাকেন। সম্প্রতি সময়ে সোলাইমানের স্ত্রী রাহেনা বেগম অভিযোগ তুলেন তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে স্ত্রী রাহেনা বেগম তার স্বামী সোলাইমান মিয়ার বিশেষ অঙ্গ (লিঙ্গ) কেটে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিঠাপুকুর উপজেলার দমদমা এলাকার ইউপি-সদস্য রাজু আহমেদ জানান, ঐ নারী একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন। সেখানে তার পূর্বের সংসার নষ্টের জন্য বর্তমান স্বামী সোলাইমানকে দায়ী করেছেন। সোলাইমানের মোবাইলে একাধিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পলাতক স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।