শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মহামারি-যুদ্ধ-দুর্ভিক্ষ ও ধনসঞ্চয়ের সিঁড়ি

আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০০

মানবপ্রবৃত্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধনসঞ্চয়। প্রতিটি ধর্মগ্রম্হই ধনের জন্য দেব-দেবী-ঈশ্বর-ভগবানের কাছে ক্রন্দনরত মানুষের আকুল-ব্যাকুল প্রার্থনায় পূর্ণ। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের নীতিবাক্যের অধ্যায়ে অসংখ্য শ্লোক আছে এ বিষয়ে—‘বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্, বিনয়ম্ দদাতি ধনম্’। বঙ্গানুবাদে দাঁড়ায়, বিদ্যাশিক্ষা মানুষকে বিনয়-গুণ দান করে এবং বিনয়ই দান করে ধন-সম্পদ। এতে কি স্পষ্ট হয় না যে মানবজাতিকে সভ্যতার গোড়া থেকে ধন সঞ্চয়ের জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে? কিন্তু ধনসম্পদ সঞ্চয়ের পথ যে বিনয়-ভদ্রতা-নম্রতা গুণ নয়, এটাই পরম সত্য। বরং ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ভিক্ষুকের মুখে বিনয় বাক্য বা মাথানত ভদ্রতা, আত্মসমর্পণ প্রদর্শন-কৌশল বা চাতুর্যগুণ, এটা সত্য। আদিকাল থেকেই ধনসঞ্চয়ের একমাত্র পথ হচ্ছে চৌর্যবৃত্তি, প্রতারণা, লুণ্ঠনবৃত্তি, শোষণ-শাসন-কৌশল, নরহত্যা, নগর ধ্বংস, যুদ্ধ ইত্যাদি ক্রিয়া।

চলমান সময়ে করোনা ব্যাধি আর গণমৃত্যু প্রমাণ করেছে যে, ধনীর ধনবৃদ্ধিতে এ বিপর্যয় কতটা সহায়ক হয়েছে। এ বিষয়ের সঙ্গে মিলে যায় এমনি অন্য আরেকটি সংস্কৃত শ্লোক আছে। ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী, তদর্ধং রাজ কার্যেন, তদর্ধং কৃষি কার্যেন, ভিক্ষায়ং নৈব-চ, নৈব-চ’। অর্থাৎ ব্যবসায়-বাণিজ্যে ধনের দেবী লক্ষ্মী বাস করে, তার অর্ধেক চাকরিবাকরি, তারও অর্ধেক কৃষিকাজে, ভিক্ষায় নৈব-চ অর্থাৎ কিছুই মেলে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবজাতির মনন জগতে অচেনা অভূতপূর্ব এক বিষণ্নতা নেমে আসে। পশ্চিমা সাহিত্য পঠনপাঠনের প্রভাবে বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ ও তার সৃষ্টির ভেতর সেই হতাশা, নিঃসঙ্গতা, নির্জনতা, মৃত্যুচিন্তা আর বিষণ্নতা সৃষ্টি করেন। অথচ তখন ঔপনিবেশিক এই বঙ্গ-ভারতে অর্থনীতির এক বিবর্তন চলতে থাকে। ভয়ংকর ধ্বংসস্তূপের ভেতর ঔপনিবেশিক শাসকদের বাইরে দেশীয় নব্যধনী শ্রেণির উদ্ভব ঘটতে থাকে। দুইটি পরিবারের উত্থান ছিল বিস্ময়কর। একটি জামশেদ জি টাটা পরিবার এবং অন্যটি ইস্পাহানি পরিবার। উল্লেখ্য, এই দুই ব্যবসায়ী পরিবারের আদি নিবাস ইরান। টাটারা ধর্মে অগ্নি উপাসক পারসি। ইস্পাহানিরা শিয়া মুসলিম। ভারত বিভক্তিতে এই দুই পরিবারের অশেষ অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় এই দুই পরিবারের ইংরেজ সহায়তায় অপরাপর বাণিজ্যের সঙ্গে যুদ্ধরত ইংরেজ বাহিনীর লক্ষ লক্ষ দেশীয় সৈনিকদের জন্য সারা দেশ থেকে চাল এবং গম সংগ্রহের ঠিকাদারি ছিল। তারা বাংলার কৃষকের গোলা শূন্য করে চালাকি প্রয়োগে সব চাল নৌপথে ও রেলপথে সৈন্যদের ঘাঁটিতে পৌঁছে দেয়। পরিণামে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে মহাদুর্ভিক্ষে বাংলার গ্রামে গণমৃত্যু ঘটে। কয়েক কোটি মানুষ অনাহারে এবং ব্যাধিতে সাফ হয়ে যায়। আচমকাই সম্পদের পাহাড় জমে যায় টাটা আর ইস্পাহানির ভাগ্যে। অন্য দিকে ফড়িয়া ও মজুতদারগণ চোরাই কেরোসিন এবং লবণের ব্যবসায় করে উপনিবেশের অবসানের পর স্বাধীন দেশে নব্যধনী হওয়ার পথ দ্রুত তৈরি করে নেয়।

সাতচল্লিশ সালে সদ্যস্বাধীন ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে চরম নৈরাজ্য তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, লক্ষ-কোটি মানুষের উদ্বাস্ত্ত জীবনবরণ দুটি দেশেই অর্থনৈতিক মহাবিপর্যয় নেমে আসে। এই বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে লুণ্ঠন ও দুর্বৃত্তায়নের পথে নব্য স্বাধীন দুটি দেশের নিয়ন্ত্রক ধনী শ্রেণির উদ্ভব ঘটে যায়। এভাবেই দুটি দেশে লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণির উদ্ভব পূর্ণতা লাভ করে।

বিস্ময়ের কিছু নেই। একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের মাত্র ৫০ বছর পর বাংলাদেশ অর্থাত্ দরিদ্র এবং ক্ষুদ্রসংখ্যক মধ্যবিত্তের আবাসভূমি, যেখানে ধনীর সংখ্যা ছিল শূন্য, তাতেই দুই হাজারের ওপর ধনী পরিবারের উদ্ভব ঘটে। চুয়াত্তরের মহাদুর্ভিক্ষ এবং অবাঙালিদের পরিত্যক্ত সম্পদ লুণ্ঠনের ফলেই এমনটা ঘটেছে। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কালে কিছুসংখ্যক মানুষের মজুত ও চোরাকারবারের স্মৃতি আজও ভুলে যায়নি মানুষ। আরো আশ্চর্যের বিষয় এই যে, স্বাধীনতা-উত্তর অর্থনৈতিক বিধ্বংস, অস্হির দিশাহীন রাজনীতির মত ও পথের দ্বন্দ্বের ভেতর গ্রাম থেকে নগরে আসা তরুণ মেধাবী শ্রেণিটির ভেতর আচমকাই কাব্যপ্রীতির ঢেউ ওঠে। হতাশা, নিরানন্দ, বিষণ্নতার মহাপ্লাবন। জীবনানন্দ দাশের পুনরুত্থান ঘটে। এটাও সত্য যে, সেই সময়কার সৃষ্টিই বাংলাদেশের কাব্যসাহিত্যের অমর সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক মানের কবিতা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশেই সৃষ্টি করেন নবীন কবিরা। ইনটেলেকচুয়াল নগরবাসী বাঙালির সেই ভাবোন্নাদের সুযোগ নিয়ে লুটেরা শ্রেণিটি ব্যাপক লুণ্ঠনের দ্বারা তাদের ভবিষ্যতের ব্যবসায়ী পুঁজির সিংহভাগ সঞ্চয় করে ফেলে।

মানবসভ্যতা কি জটিল, দিশাহীন এবং আতঙ্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে যায়, ভাবলে অবাক লাগে। বারবার এই সভ্যতাকে আঘাত করেছে। প্রকৃতি, বৈরী আবহাওয়া, অচেনা প্রাণঘাতী রোগব্যাধি। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকার অসংখ্য নগর যেমনি জনশূন্য হয়ে গেছে, তেমনি কৃষিসভ্যতার প্রাণভূমি হাজার হাজার গ্রামও জনবিরল হয়ে যায়। এসব অঞ্চল নিয়ে ১৯/২০ শতকে অসংখ্য ভৌতিক আখ্যান তৈরি হয়েছে। কেবল যে সাহিত্য হিসেবে তা নয়, চলচ্চিত্র হিসেবেও। শত শত জনজাতির মানুষের সঙ্গে তাদের ভাষা-সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

প্রাচীন বা মধ্যযুগে ধনসংগ্রহের বড় উপায় ছিল রাজা-বাদশাদের রাজ্য জয় এবং দসু্যদের নরহত্যার দ্বারা লুণ্ঠন। বঙ্কিমচন্দ্র এবং তত্কালের অনেক লেখকেরই লেখায় এর বিবরণ পাওয়া যায়। আমরা উনিশ শতকের প্লেগ মহামারির কথা মনে করতে পারি। মনে করতে পারি গুটিবসন্ত বা ম্যালেরিয়ার কথা। শীতের দেশ ইউরোপ, এমনিতে জনসংখ্যা কম। এসব ব্যাধির দাপটে একটার পর একটা জনবহুল শহর উজাড় হয়ে যায়। জীবিতরা শহর ছেড়ে পালায়। আর কোনোদিন ফিরে আসেনি তারা। এমন জনশূন্য পরিত্যক্ত শহর আজ পর্যটক আর গবেষকদের ভ্রমণের জায়গা। বাণিজ্যপুঁজি তাদের মুক্তি দেয়নি। মানুষের মৃত্যুস্মৃতিও মুনাফার উপাদান হয়ে যায়।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে, কীভাবে বিশ্বের দেশে দেশে ধনকুবেরা দ্রুত জাদুমন্ত্রের মতো ধনস্ফীতি ঘটিয়েছে। এদের কারণেই নারী বা লিঙ্গবৈষম্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সহায়ক হয়েছে ধনীদের অথচ চরম অসহায় করে দিয়েছে অকালমৃত্যু বরণ করা পিতামাতার অনাথ শিশুদের। লক্ষ লক্ষ এই অনাথ শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে কী ধরনের যৌন ও অপরাপর নির্যাতনের শিকার হয়, তা কারো অজানা নয়। অনাথদের একটি অংশ শিশু পাচারকারীর হাতে পড়ে চিরদিনের মতো হারিয়ে যায়। অথচ বেসরকারি অনাথ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধনবানের বাণিজ্যের অংশ মাত্র। করোনার বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই চালিয়ে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিছুটা হলেও সুলক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর সুফল লাভ করছে সমাজের উচ্চশ্রেণি। দেশের সিংহভাগ মানুষই অর্থনীতির মহামন্দায় পতিত। তাদের গেছে চাকরিবাকরি। ছাঁটাই হয়েছে কলকারখানা থেকে।

অপর পক্ষে সারা বিশ্বে বর্ণবৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্বেতাঙ্গ সমাজের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী পড়েছে অধিক বিপদে। এমনিতে ওরা দরিদ্র, তার ওপর বেকার হওয়া। আদিবাসী সমাজ পড়েছে মহাবিপর্যয়ে। করোনার টিকা থেকে এদের বেশির ভাগই বঞ্চিত। কিছু কিছু ক্ষুদ্র জনজাতি তো বিলোপ হওয়ার পথে। আধুনিক সভ্যতার এদের দিকে তাকাবার সময় কোথায়? উলটোদিকে আমেরিকা এবং অপরাপর উন্নত বিশ্বে আদিবাসীদের নিয়ে বাণিজ্য চলে। পর্যটনশিল্পের নামে, আদিবাসীদের বসবাসের নামে স্হান নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি অনুমতি ছাড়া ওদের গাঁয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট স্হানে বিনে পয়সায় মদ, মাংস, রুটি, ফল রেখে দেওয়া হয়। আধা উলঙ্গ মানুষগুলো(!) এসে তা নিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে উচ্চ মূল্যের টিকিট কিনে ওদের এলাকায় ঢুকতে হয়। স্নানের সময় ওরা যখন ঝরনা বা সরোবরে উলঙ্গ হয়ে অবগাহন করে তখন কাছে ঘেঁষা নিষিদ্ধ হলেও দূর থেকে দেখা যায়, কিন্তু ছবি তোলা আইনবিরুদ্ধ। এরই নাম মানুষের সভ্যতা নিয়ে পুঁজির বাণিজ্য।

পুঁজি কীভাবে গণচরিত্র বদল করে, অভ্যাস বদলে দেয় অনলাইনে কেনাকাটার অ্যাপ অ্যামাজন তার দৃষ্টান্ত রেখেছে। গৃহিণীরা প্রয়োজন অপ্রয়োজনে গৃহকর্তার পকেট খালি করে দিচ্ছে, মোবাইল টিপে অনলাইনে বুক করে। অভ্যাস বদলে দিচ্ছে বাজার ঘুরে যাচাই-বাছাই করে শখের পণ্য ক্রয়ের। এ ধরনের অভ্যাস তৈরি হয়েছে করোনা ভীত মানুষের মধ্যে।

মানুষ থাকবে। পৃথিবীও থাকবে। রোগব্যাধি আর মৃত্যুও থাকবে। নতুন রোগের নতুন ওষুধও আবিষ্কার হবে। চিকিৎসা বাণিজ্যটাও থাকবে। অর্থনীতির মালথাস সাহেবও থাকবেন, তাকে বাতিল করা যাবে না। অধিক জনসংখ্যা রোধে প্রকৃতির প্রতিশোধে মৃত্যুও থাকবে। নতুন নতুন ব্যাধিরা আসবে। মানুষের অহংকার সভ্যতাকে চপেটাঘাত করবে। ধনীরাও থাকবে। ধন সঞ্চয়ের চালাকিও থাকবে ছায়ার মতো, মানুষের পাশাপাশি। ধনতন্ত্র আছে না? ধনতন্ত্র থাকবে ধন সঞ্চয় ঘটবে না তা কি হয়?

ধনের মোহে ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার মতো হাজার-লক্ষ বাংলাদেশি ব্রিটেন আমেরিকাসহ ইউরোপের বহু দেশে অভিবাসী হয়েছে। ধনী দেশের ধনীদের ধন বৃদ্ধির যন্ত্র হিসেবেই ওসব দেশে ওরা কর্মরত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে শ্বেতাঙ্গদের জীবনযাপনের সঙ্গে তাদের জীবনযাপনের তুলনাই হয় না। সংগত কারণে শরীরে রোগপ্রতিরোধক্ষমতাও কম। অথচ দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাদের। নিউ ইয়র্ক শহরেও বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা অধিক। শ্বেতাঙ্গদের দেশে অভিবাসী কৃষ্ণবর্ণ বাঙালি বা বাংলাদেশির অবস্হা আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গদের চেয়ে উন্নত নয় মোটেই। আক্ষেপ এটাই যে, পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে ধনীদের ধনবৃদ্ধি বা সেবামূলক শ্রম দিতে গিয়ে স্বপ্নের প্রবাসে প্রাণ দিতে হয় নিঃসঙ্গ অবস্হায়।

যুদ্ধ ও ধ্বংসস্তূপের ভেতর কিংবা নিহত সৈনিকের ছিন্নভিন্ন দেহের পাশে ডলার পাউন্ড খিলখিল হাসে। যুদ্ধ থেমে গেলে যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকে মানুষের লাশ আর ধ্বংসপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র। মৃত সৈনিকের লাশ মূল্যহীন, কিন্তু তার নষ্ট অস্ত্রের মূল্য অনেক। ইরাক যুদ্ধ শেষে যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকা অকেজো অস্ত্র আর সাঁজোয়া যান সংগ্রহের জন্য ভারতের ইস্পাত নির্মাণকারী টাটা স্টিলসহ অনেকেই বিশাল পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ে অপেক্ষায় ছিল আরব সাগরে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেসব সংগ্রহ করে ইস্পাত কারখানায় গলিয়ে অধিক উন্নতমানের ইস্পাত তৈরি করে আমেরিকা ইউরোপসহ জাপানের কাছে বিক্রি করে তারা বিপুল অর্থ আয় করে। এই যে যুদ্ধ, ধ্বংস আর মৃত্যুর বিনিময়ে ধন সঞ্চয়ের পথে পা ফেলা, এটাই বর্তমান সভ্যতার মানুষের নিয়তি।

লেখক: কথাসাহিত্যিক

ইত্তেফাক/কেকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন