শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিলেটে তীব্র শীত, ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বরের রোগী

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫২

সিলেট অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে সিলেটের কোভিড ডেডিকেটেড শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

গত সপ্তাহে শামসুদ্দিন হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার ছিল পঞ্চাশের নিচে। শুক্রবার থেকে এ হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে পজিটিভ ৫৩ জন এবং সন্দেহভাজন ১০ জন। সাত জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। দুই জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি বলেন, যে হারে রোগী বাড়ছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে এ সপ্তাহেই হাসপাতালের সিট পূর্ণ হয়ে যাবে। এ হাসপাতালের সিট সংখ্যা মাত্র ১০০টি।

অন্যদিকে জ্বর, সর্দি, প্রচণ্ড ব্যথাসহ সব ধরনের উপসর্গ থাকার পরও অনেকে করোনা পরীক্ষা করান না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না। এভাবে অনেকেই অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এই ভাইরাস। অনেকেই বলেন, ‘আমি করোনাক্রান্ত বুঝতে পারছি। ডাক্তার দেখিয়ে লাভ নেই। অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি, কমে যাবে।’ চিকিত্করা বলেছেন, যে কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিক না কেন, সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তারা আরো বলেছেন যারা বয়স্ক, যাদের কিডনি, ডায়াবেটিক সমস্যা রয়েছে তাদেরকে করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া বেশি দরকার। ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করায় ঝুঁকি থেকেই যায়—এমন মন্তব্য একাধিক চিকিৎসকের।

চলমান শীতের তীব্রতার মধ্যে করোনার ঊর্ধ্বগতি—এমন সময় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু শহরের রাস্তাঘাটে স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই। মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম। শুধু ওসমানী হাসপাতালের বহির্বিভাগে এখন প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার শতাধিক রোগী আসছেন সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে। ডায়াবেটিক ও মেডিসিন চিকিৎসক তায়েফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, অনেকেই ফার্মেসিতে গিয়ে উপসর্গের কথা বলে অ্যান্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামলসহ আরো কয়েকটি ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই টিকা নেননি। এতে করোনা সংক্রমণ বহু গুণে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সিলেটে করোনা পরীক্ষায় মানুষের অনীহা বেশি। যে কারণে পরিবারের এক জনের সর্দি, জ্বর কিংবা কাশি হলে পুরো পরিবারকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ইত্তেফাক/ ইআ