সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নাটক-ওয়েবে ব্যস্ত তাসনিয়া ফারিণ

আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:০০

এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। সমানতালে কাজ করছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও টেলিভিশনে। সম্প্রতি শিহাব শাহীনের পরিচালনায় শেষ করেছেন ‘সিন্ডিকেট’ ওয়েব সিরিজের কাজ। এ কাজটি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না ফারিণ। 

গত বছর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ ওয়েব সিরিজের ‘সাবিলা’ চরিত্রে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। তখনই জানিয়েছিলেন এমন কাজ করবেন যাতে দর্শকের প্রত্যাশা মিটে। ফারিণ বলেছিলেন, ‘নন্দিত একজন নির্মাতার কাজ করলাম। প্রচুর ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব পাচ্ছি। সামনে এমন কিছু করব যাতে দর্শক হতাশ না হন।’ ‘সিন্ডিকেট’ ওয়েব সিরিজটি নিয়েও দর্শকের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফারিণ অপেক্ষা করছেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। তখনই বলবেন এ ওয়েব সিরিজ নিয়ে। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে ফারিণের চরিত্র দর্শকের চেনা-জানার মধ্যেই।

ভালোবাসা দিবসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নাটক সংশ্লিষ্টরা। ফারিণও তার বাইরে নন। নাটকের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ওয়েব সিরিজের কাজের জন্য খুব বেশি নাটকে কাজ করতে পারিনি এবার। তারপরও যেটুকু পারছি, করছি। ভালোবাসা দিবসে চার থেকে পাঁচটি নাটক প্রচার হতে পারে। ঈদের নাটকের কাজ লক হয়ে আছে। এছাড়া মার্চে আরেকটি ওয়েব সিরিজের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।’ গত বছর ফারিণের জন্য ছিল সফলতার। ওয়েব ফিকশন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘ট্রল’, ‘তিথির অসুখ’, ‘বিড়াল তপস্যা’ ও ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ তার ক্যারিয়ারে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। নাটকেও ছিলেন নিয়মিত। গত বছর তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে ছিল ‘তারে বলে দিও’, ‘কমলা রঙের রোদ’, ‘রোমিও জুলিয়েট’, ‘মন দরিয়া’, ‘মেইড ফর ইচ আদার’, ‘আপন’, ‘মায়ের ডাক’, ‘২১ বছর পরে’, ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’, ‘রিভেঞ্জ’ ইত্যাদি। যার সুবাদে ট্রাব (টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফারিণের ভাষ্যে, ‘আমি পুরস্কারের জন্য কাজ করি না। আমি চাই কাজের মাধ্যমে দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে। নিজের সন্তুষ্টির বিষয়টিও কাজ করে। তবে পুরস্কার পেলে ভালো লাগে অবশ্যই।’

ফারিণ কাজের ব্যাপারে সচেতন। যার ফলাফল পেয়েছেন গত বছর। এ বছরও তার ব্যতয় হবে না। ফারিণের ভাষ্যে, ‘ভালো গল্পে ভালো নির্মাতার সাথে কাজের চেষ্টা করছি। গত বছরের চেয়ে আরও ভালো কাজের চেষ্টা তো সবসময়ই থাকবে। নাটক, ওয়েব ফিকশন, বিজ্ঞাপন যে কাজই করি না কেন নিজের জায়গা থেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’

ফারিণ ভালো গান করেন। নজরুল সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে নজরুল একাডেমি থেকে অনার্স ডিগ্রি নিয়েছেন। গুঞ্জন আছে এ বছর গান বা অন্য কিছুতে দেখা যেতে পারে তাকে। সে প্রসঙ্গে একদমই চুপ ফারিণ। তবেগান নিয়ে তার ভাষ্য, ‘গান আমার প্রথম পছন্দ। অভিনয় দ্বিতীয় পছন্দ। গান নিয়ে কিছু করার ইচ্ছে আছে। সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি।’

ফারিণের ফেইসবুক আইডি নেই; আছে পেজ ও ইনস্টাগ্রাম। সেখানে কাজের হালনাগাদ তথ্য পেয়ে যান সকলে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার সাথে কথা বলা সম্ভব নয়। যখন শুটিংয়ে যাই তখন লোকজন কথা বলে। ছবি তোলে। ভক্তের সংখ্যাটা বোঝা যায়। আর পেজে মন্তব্য করে, নিজেদের পোস্টে ট্যাগ করে মানুষজন তাদের ভালো লাগা জানায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে সোশ্যাল মিডিয়া টানে না। আমি কাজ করতে পছন্দ করি। শুটিং শেষে বাসায় ফিরলে ভুলে যাই কী করেছি। নিজের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করি। কাজের মাধ্যমে দর্শক আমাকে জানুক এটাই চাই।’

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি ছিল ফারিণের জন্মদিন। শুটিং ইউনিটেই কেক কেটেছেন তিনি। ফারিণ বলেন, ‘আমি জন্মদিন সেভাবে উদ্যাপন করি না। শুটিংয়ে সহকর্মীরা কেক কেটেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরদিনও তারা কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন। সহকর্মীসহ অন্যদের শুভেচ্ছা পেয়েছি।’

ইত্তেফাক/ আরাফাত