চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ও মডেল মুশফিকা তিনার বাবা আবু মহসিন খান ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তিনি তার অনেক মান-অভিমান আর কষ্টের কথা নিজ মুখে বলেন। একই সঙ্গে তাকে কোথায় দাফন করতে হবে- সেই কথাও তিনি বলে গেছেন।
লাইভের ১৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মাথায় তিনি আত্মহত্যা করেন। এ সময় তিনি নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক মাথায় ঠেকিয়ে গুলি চালান। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার আত্মহত্যা করার পরও লাইভ চলছিল। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই লাইভ চলমান থাকে।
ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি চলে যাবো। আত্মীয় স্বজন যারা আছো, যেহেতু বাবাও আমাকে জায়গাটা দেয়নি, আমি যে কবরস্থানটা করেছি সেখানে আমাকে দাফন করো না। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি কবরস্থান হয়েছে, সেখানে তোমরা আমাকে দাফন করে দিও। প্রত্যেকটা লোক আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার বাবা, মা, ভাইরা, প্রত্যেকটা লোক, এভরিওয়ান।’
আবু মহসিন খান গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় বসে তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে কালেমা পড়ে ফেসবুক লাইভে লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আবু মহসিন খানের বড় মেয়ে তিনা চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের স্ত্রী; তারা রাজধানীর বনানীতে থাকেন। নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছোট ছেলে নিশানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। নিজ সন্তানদের প্রতি ফেসবুক লাইভে ক্ষোভের কথা জানালেও আত্মহত্যার ঠিক আগে তাদের প্রতি দিয়েছেন বাবা হিসেবে শেষ উপদেশ।