শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না’

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৩

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থায় কোনক্রমেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। যারা ভাবছেন চাল ধরে রেখে বেশি মুনাফা করবেন, সেই আকাঙ্খা পুরণ হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে 'অবৈধ মজুতদারি রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায়' ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।  

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহব ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রসাশক মো. আসিব আহসান, পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম, মিল মালিক আব্দুল হান্নান প্রমূখ।

সভায় মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত বছর আম্ফানে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন চালের দাম বাড়েনি। অথচ ভালো ফলন ও ভরা মৌসুমে এখন দাম বাড়ছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স নিয়ে কেউ ধান চাল মজুদ করে রাখছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। মিল মালিকরা কি পরিমান ধান কিনছেন, স্টক করছেন এবং ক্রাসিং করছেন তার হিসাব রাখত হবে। মন্ত্রণালয়কে তা অবহিত করতে হবে। গাফিলতি প্রতীয়মান হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষক ধান মজুত করেন না। মিল মালিকগণ জানেন কারা ধান মজুত করেন। কারণ মজুত করা ধান মিল মালিকরাই কিনেন। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মিল মালিকদের পক্ষে আব্দুল হান্নান বলেন, দেশে চিকন চালের চাহিদা বেশি। এ চালের দাম কমানো যাবে না। কারণ পার্শবর্তী দেশেও চিকন চালের দাম বেশি। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সারাদেশে সরবারহ বাড়াতে চাল আমদানির অনুরোধ জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এমএএম

ইত্তেফাক/এমএএম