রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আট শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রাশিয়ার ‘অগ্রহণযোগ্য’ ইউক্রেন আগ্রাসনের পর তারা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রেমলিন সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে সৈন্য মোতায়েনে পুতিনের সিদ্ধান্তের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র দেশ প্রায় একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ৮ সদস্য এ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করবে। তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। পরবর্তিতে অস্ট্রেলিয়া সামরিক সংশ্লিষ্ট রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেবে।
নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মরিসন বলেন, ‘তারা ভাড়াটে গুণ্ডা ও উৎপীড়কের মতো আচরণ করছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা পুরোদমে আগ্রাসন চালানো শুরু করতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
এদিকে, রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও তিন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, এগুলো নিষেধাজ্ঞার প্রথম ধাপ। রাশিয়ার ওপর আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক। সেগুলো হলোঃ রোসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ব্যাংক ও ব্ল্যাক সি ব্যাংক। সেইসঙ্গে তিন রুশ ধনকুবের গেনেডি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ ও ইগোর রোটেনবার্গের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন।
পশ্চিমাদের সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে রুশ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন।