সফলতা-ব্যর্থতার হিসেব না করে দীর্ঘদিন নিজেকে সিনেমায় নিয়োজিত রেখেছেন চিত্রনায়ক ইমন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার বেশ কয়েকটি সিনেমা। পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে সম্প্রতি শপথ নিয়েছেন তিনি। অভিনয় পরিকল্পনা, শিল্পী সমিতিসহ ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ এম রুবেল
- আপনার ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটির গল্প এবং আপনার চরিত্র প্রসঙ্গে জানতে চাই
— এরইমধ্যে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সিনেমাটিতে করোনাকালীন মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এটাকে আমরা বিশেষ একটি গল্পের সিনেমা বলতে পারি। সিনেমাটি হলের পাশাপাশি ওটিটিতেও মুক্তি পাবে।
- এর বাইরে অন্য কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
‘কাগজ:দ্য পেপার’, ‘বীরত্ব’ সিনেমাগুলো কাজ শেষ করলাম। পাশাপাশি এ সপ্তাহে ‘কানামাছি’ সিনেমার ডাবিং শুরু করছি। আসছে মাসে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে ‘আগামীকাল’ সিনেমাটির। এর বাইরে নতুন আরো কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে। আসলে বর্তমানে আমি গল্প প্রধান সিনেমায় বেশি কাজ করছি।
- অ্যাকশন ঘরানার বাইরে গিয়ে এ ধরনের গল্পের দিকে মনোযোগী হওয়ার কারণ হিসেবে কী বলবেন?
দেখুন, এখন তো সময়টাও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন সুন্দর একটি গল্প দেখতে চায়। সেই জায়গা থেকে আমি নিজেও চাই ভালো গল্প এবং সেই গল্পের মাঝে সুন্দর একটি বার্তা আছে তেমন সিনেমায় অভিনয় করতে। বার্তা প্রধান গল্পে অভিনয় করার জায়গা থাকে। গল্প ছাড়া শুধু রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। তাই বুঝেশুনে কাজ করার চেষ্টা করছি।
- হলে নতুন সিনেমা ফিরলেও দর্শক ফেরেনি। দর্শক ফেরাতে কী করা উচিত মনে করছেন?
করোনাকালে তো সবই বন্ধ ছিল। সেই জায়গা থেকে এখন যারা হলে যাওয়া শুরু করেছেন তাদের ধন্যবাদ দিতে হবে। আমার মনে ধীরে ধীরে আবারো অবস্থা স্বাভাবিক হবে। তাছাড়া নতুন সিনেপ্লেক্স তৈরি হওয়ার খবরগুলোও আশার একটি দিক।
- এরইমধ্যে ওটিটির জন্য একটি কাজ করেছেন। মাধ্যমটি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
নতুন একটি মাধ্যম তো সবার জন্যই আশার আলো নিয়ে আসে। কাজের পরিধি বাড়ে। যদি আমরা মাধ্যমটির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে পারি তাহলে ইন্ডাস্ট্রিসহ সবার জন্যই ইতিবাচক হবে। এরইমধ্যে আমি ওটিটির জন্য একটি কাজ করেছি। আরো বেশ কয়েকটি কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। সব কিছু মিলে গেলে নতুন কাজে শিগগিরই আমাকে দেখা যাবে।
- তৃতীয়বারের মতো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ একটি পদের দায়িত্ব নিলেন। সংগঠনটি ঘিরে পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা কী?
এবার আমি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিয়েছি। এই মেয়াদে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ইচ্ছে আছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শিল্পীদের সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে চাই।
- আপনারা অনেকেই শপথ নিলেও সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা কাটছে না। আদালত পর্যন্ত গড়ানো এই পদটি নিয়ে কী মন্তব্য করবেন?
দেখুন, আমি কখনো ভাবিনি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াবে। এখন আদালত যে রায় দেবেন সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।