নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৭ মার্চ) বিকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২১ মাস আগে ৬লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দরাকুটি নদীর পাড় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ডায়না ইসলাম হাসির সাথে সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ডায়নার বাবা মেয়ের সুখের জন্য ধারদেনা করে দুই লাখ টাকা ও আসবাবপত্র কিনে দেন। কিন্তু ঘটনার দিন তারা আবারো ডায়নাকে বাবার কাছ থেকে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলেন। ডায়না এতে অসম্মতি জানালে তাকে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিত গৃহবধূ ডায়না জানান, আমার বাবা বিয়ের পর ধারদেনা করে আমার স্বামীকে দুইলাখ টাকা ও আসবাবপত্র কিনে দেন। রবিবার আবারো আমাকে তিন লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। তাদের কথায় রাজী না হওয়ায় তারা আমাকে মেরে মাটিতে ফেলে রাখে। ডাক্তার বলেছে আমার ডানহাতের হাড় ফেটে গেছে এবং মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দোলা লিপটন বলেন, মেয়ের বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।