বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হাইড্রোলিক হর্ন ও ধুলোয় নাকাল বাসিন্দারা

উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ০৫:১০

যত্রতত্র হাইড্রোলিক হর্নের শব্দ। অটোরিকশার দৌরাত্ম্য ও ধুলোয় নাকাল উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকা হলেও এই সেক্টরকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে গাজীপুর ও আশুলিয়া যাতায়াত করছে গাড়ির চালকরা। অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচলের কারণে উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো ও যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এতে অস্বস্তিতে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১০ নম্বর সেক্টরের ১/এ ও ১২ নম্বর রোডে মাত্রাতিরিক্ত যানজট লেগে থাকে। বিশেষ করে ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা ও বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানজটের মাত্রা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময় গার্মেন্টস কারখানার গাড়ি ও সাধারণ মানুষ আশুলিয়া ও গাজীপুরের দিকে যেতে এ পথ ব্যবহার করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী বহন করা খোলা ট্রাকের কারণে পুরো এলাকায় ধুলোবালি উড়তে থাকে। আব্দুল্লাহপুর সড়কের বালিও এই এলাকায় আসে। শুধু তাই নয়, ওয়াসা দীর্ঘদিন ধরে পাইপলাইনের কাজ করায় সড়কে যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও ধুলাবালিতে ছেয়ে যায় এলাকা।

এ বিষয়ে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টি-জেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল আলী বলেন, যাতায়াতের জন্য ১ নম্বর রোড ও ১/এ রোডে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ব্যবহার করে। এ ছাড়া সেক্টরের ভেতরের কামারপাড়া রোডটিও তারা ব্যবহার করে। ১০ নম্বর সেক্টর করিডোর হিসেবে গাড়ির চালকরা ব্যবহার করায় যানজট সব সময় লেগে থাকে। এতে এখানকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।

এ বিষয়ে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য ও গাড়ির মাত্রাতিরিক্ত হর্ন অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। অন্য সড়কের গাড়িগুলো সেক্টরের রাস্তা ব্যবহার করায় সব সময় যানজট লেগেই থাকে। এ ছাড়া হকারদের উৎপাত বাড়ছে দিন দিন। যানজটের বিষয় সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। সেক্টরের নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রায় শতাধিক প্রহরী কর্মরত রয়েছে।

এ বিষয়ে সেক্টরের নিরপত্তা ইনচার্জ জানান, ‘অন্যান্য সেক্টরের ভেতরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও এই সেক্টর দিয়ে সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করে। এতে সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে। আমরা যানবাহন চলাচলের বিষয়ে কাউকে নিষেধ করলে আমাদের কথা কেউ শুনতে চায় না। কিছু কিছু সময় এ নিয়ে ড্রাইভারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয়। অবৈধ অটোরিকশাসহ যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ দরকার।’

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ট্রাফিক (এসি) সাইফুল মালেক ইত্তেফাককে বলেন, ১০ সেক্টরের বাউন্ডারি ওপেন। অন্যান্য এলাকার গাড়ি এই সেক্টর ব্যবহার করে চলাচল করে। যার কারণে যানজট বেড়ে গেছে। এছাড়া প্রধান সড়কে কাজ চলার কারণে ভেতরের সড়ক দিয়ে গাড়ি ঢুকে। আর অটোরিকশা প্রতিদিনই আমরা আটক করি। কিন্তু পর্যাপ্ত ডাম্পিংয়ের জায়গা না থাকায় আমরা হিমশিম খাই। আমরা প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছি। যানজট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ’

ইত্তেফাক/এমআর