রায়পুর উপজেলার ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এক্সরে মেশিন ১৮ বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। গত বছর হাসপাতালে আসা নতুন ডিজিটাল এক্সরে মেশিন কয়েক মাস বাক্সবন্দি থাকার পর নির্দিষ্ট কক্ষে স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেটিও আগের মতোই পড়ে আছে তালাবদ্ধ কক্ষে। এক দিনের জন্যও রোগীদের পরীক্ষানিরীক্ষায় ব্যবহার হয়নি। দুটি মেশিন থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৮ বছর ধরে হাসপাতালে রোগীরা পাচ্ছেন না কোনো এক্সরে সুবিধা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, রেডিওগ্রাফার না থাকায় আগের মেশিনটি পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। ফের রেডিওগ্রাফার না পাঠিয়ে নতুন আরো একটি মেশিন পাঠালে তাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে হচ্ছে ভোগান্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এক্সরে অপারেটর না থাকায় দুটি এক্সরে মেশিন থেকেও তাদের কোনো কাজে আসছে না। বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়তি টাকা দিয়ে এ সেবা নিতে হচ্ছে তাদের। তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, এসব অজুহাত না দেখিয়ে এক্সরে সেবা দ্রুত চালু করা হোক।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কমপ্লেক্সের এক্সরে যন্ত্রটির অপারেটর ২০০৪ সালে বদলি হয়ে গেলে মেশিনটি একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। তখন থেকে যন্ত্র থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্সরে মেশিন বন্ধ রয়েছে। আগের এক্সরে যন্ত্রটি পড়ে থেকে অকেজো হওয়ায় নতুন ডিজিটাল যন্ত্র আনা হয় হাসপাতালে।
রায়পুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বাহারুল আলম বলেন, এক্সরে টেকনিশিয়ান না থাকায় রোগীদের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এর পরও কোনো লাভ হচ্ছে না। টেকনিশিয়ান না থাকায় নতুন যন্ত্রটিও রোগনির্ণয়ের কাজে লাগানো যাচ্ছে না।