সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নওগাঁয় হিজাব বিতর্কে তদন্ত শুরু

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ০০:৫৬

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে হিজাব বিতর্ক ও ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার তিন দিন পর রবিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ বাদী হয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অজ্ঞাত ১৪০-১৫০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই জিডি করেন। এদিকে, বিদ্যালয়ে এই বির্তকের ঘটনা তদন্তে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি রবিবার সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

সন্ধ্যায় মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি ১৪০ থেকে ১৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তি হামলার সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন। হামলাকারীরা ওই দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পাঁচ থেকে ছয়টি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙ্চুর করেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জিডির তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ।

হিজাব পরায় বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে গত বুধবার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার জের ধরে পরের দিন স্থানীয় বেশকিছু মানুষ ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং বিদ্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সরেজমিনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসলে নির্ধারিত পোশাক (স্কুলড্রেস) পরে না আসার কারণে দুই শিক্ষক কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে পিটুনি দিয়েছিলেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনি পাল স্কুলড্রেস পরে না আসা ছাত্রীদের এবং শরীরচর্চার শিক্ষক বদিউল আলম ছাত্রদের বেত্রাঘাত করেন।  

মহাদেবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, এই ঘটনাটি তদন্তে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ রোববার সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তদন্ত কাজ শুরু করেন। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল, প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণসহ সকল শিক্ষক,  ছাত্র/ছাত্রী,অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। এই তদন্ত কমিটির সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে।

ইত্তেফাক/কেকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন