জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যারি বাররা বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টেসলাকে ছাড়িয়ে যাবেন তারা। ২০২১ সালে চীনে চার লাখ ২০ হাজারটি হংগুয়ায় বিক্রি হয়েছে, যা টেসলার মডেল ওয়াইয়ের বিক্রিকে ছাড়িয়ে গেছে।
মডেল ওয়াই এতদিন চীনের সর্বোচ্চ বিক্রিত বৈদু্যতিক গাড়ি ছিলো। জেনারেল মোটরস (জিএম)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে পাঁচ লাখ পরিমাণ বৈদু্যতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা টেসলার ৯ লাখ ৩০ হাজারের পরই অবস্হান করছে।
তবে এ হিসাবের মধ্যে হংগুয়াংয়ের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত। কারণ জেনারেল মোটরসের অন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি যেমন শেভারলট বোল্ট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৩ হাজারটি। সে হিসেবে টেসলাকে টপকাতে হলে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে জেনারেল মোটরসকে। চীনের বৈদু্যতিক গাড়ির (ইভি) বাজার আরও দখল করতে চায় জেনারেল মোটরস। আর সেজন্য দেশটির স্হানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএআইসি এবং উলিং অটোমোবাইলের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে ব্যবসাও শুরু করেছে।
মূলত ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিততে চাইছে জিএম। আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য সাংহাইতে হংগুয়াং মিনি ইভির শোরুম খোলা হয়েছে। সাধ্যের মধ্যে পাওয়া এ বৈদু্যতিক গাড়ির জন্য ক্রেতাদের দারুণ উত্সাহ জোগান বিক্রয়কর্মীরা।
তাদের একজন বলেন, এ গাড়ির মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এর পেছনে বিনিয়োগ করেছে জেনারেল মোটরস ও এসএআইসি। হংগুয়াং মিনি তৈরির ক্ষেত্রে যৌথ অংশীদারত্বে সবচেয়ে বড় অংশীদার এসএআইসি। জেনারেল মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ। জেনারেল মোটরস এ প্রকল্পের মাধ্যমে চীনের ছোট বৈদু্যতিক গাড়ির বাজারটি ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জেনারেল মোটরসের পিছিয়ে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ হলো তাদের ব্যাটারির মান।
২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় জেনারেল মোটরসের গাড়ির ব্যাটারিতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। যার ফলে দেশটির বাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শেভরোলেট বোল্ট গাড়ি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় জেনারেল মোটরস। এরপর সব গাড়ির ব্যাটারি পরিবর্তন করতে প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয় ২০০ কোটি ডলার। বৈদু্যতিক গাড়ির জন্য নতুন কৌশলে এলজি চার্মের সঙ্গে মিলে নতুন ব্যাটারি তৈরির কাজও চলছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ কেবল ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচিত হতে চায় জেনারেল মোটরস।