বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কিশোরগঞ্জে ঝড় বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৪৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাকা আমন ধান ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির সাথে বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকার কারণে ভুট্টাগাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে করে ভুট্টা ও ধানক্ষেত নিয়ে হতাশায় পরেছে কৃষক।  

বুধবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর কাচারীর বাজার, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান, পাটসহ বিভিন্ন রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির সাথে বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকায় উঠতি ভুট্টাক্ষেতগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। 

বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক, ময়নুই ইসলাম জানান, আমি এনজিও থেকে লোন নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। এবারে ভুট্টার বাজার দর ভাল থাকায় ভেবেছিলাম ভুট্টায় দ্বিগুণ লাভ করব। কিন্তু গতকাল ভোররাতে বৃষ্টির সাথে প্রচণ্ড বেগে বাতাসের কারণে সব ভুট্টাগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। বর্তমানে ভুট্টার যে অবস্থা তাতে মনে হয় মুনাফাই উঠবেনা। 

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল গ্রামের ধানচাষী আব্দুল হাই বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। বৃষ্টির সাথে বাতাসের বেগ বেশি হওয়ায় ধানের ফুলগুলো ঝড়ে গেছে এতে করে ধানের ফলন কম হবে।  

নিতাই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম কিন্তু কালকের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমার জমির আধাপাকা ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি আবার বৃষ্টি হয় তাহলে ধান কাটতে পারবনা। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি হলেও কৃষকের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে কালকের বৃষ্টির সাথে বাতাস বেশি থাকায় কিছুটা ক্ষতির আশংকা করছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ সহকারী  কৃষি কর্মকর্তারা রয়েছে তারা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করবে। তবে তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত ভুট্টা ও ধানক্ষেত মাটিয়ে নুয়ে পড়েছে সেগুলো সেরে উঠলে ক্ষতি কিছুটা কমবে।   

ইত্তেফাক/এআই