পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়। তিনি হিমালয়ের সমান, ব্যক্তিত্বে আকাশছোঁয়া উচ্চতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন, সাহসী, বজ্রকন্ঠের অবিসংবাদিত এই নেতাকে জর্জ ওয়াশিংটন-মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে উঁচু আসনে স্থান দিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁর মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যস্থান, বিশ্বনেতাদের অনেকের কাছেই ছিলো অপূরণীয়।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে শিজুওকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশন, জাপান আয়োজিত "Lunching Ceremony of Music Box" অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষ, অন্যদিকে শোষণকারী। আমি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। এর পিছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব। পিতার পরে সন্তানের হাত দেশ, একই যত্নে লালিত এবং পালিত হচ্ছে। এখন দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
উপমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাপান বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। যে কয়েকটি দেশ এসে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের পাশে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জাপান। বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর একটি জাপান। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। এর পরদিনই দুই দেশ একে অন্যের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে। স্বাধীনতার ঠিক পরপরই বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতাও করেছিল।
এসময় অংশগ্রহণ করেন, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জাপানের শিজুওকা সিটি মেয়র নবুহিরো তানাবি, শিজুওকা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমানো হাজিমি, নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ, উপদেষ্টা ড. শাহরিয়ার এম শামস সামি।