সরকারি হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের সংকটে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনিকসহ নানা কাজকর্মে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন সহকারী প্রধান শিক্ষকরা। আবার পদোন্নতির অপেক্ষায় থেকে অনেকেই অবসরে চলে গেছেন, কেউ বা যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ফলে চরম ক্ষোভ ও হতাশায় রয়েছেন এসব শিক্ষক।
বিষয়টি বিবেচনায় এনে পদোন্নতির জন্য বয়সের শর্ত শিথিল করে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি) সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হতে হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর কর্মরত থাকতে হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ না থাকায় এত দিন পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার নিয়ম দুই বছর কমিয়ে প্রমার্জন করে পদোন্নতি দিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি শিথিল করতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩৫১টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২৪৪টি শূন্য। এ কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা যেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে জ্যেষ্ঠ কোনো সহকারী শিক্ষককে দিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ১৮ জেলা শিক্ষা অফিসারের পদও শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো প্রধান শিক্ষকের সমমানের পদ।
তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে ২৪৪টি প্রধান শিক্ষক পদ ফাঁকা থাকলেও সবকয়টি এখনই পূরণ হবে না। কারণ, নিয়োগবিধি অনুসারে মোট শূন্য পদের ৮০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ হবে। তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের বয়সের শর্ত শিথিল করে পদোন্নতিযোগ্য শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২৬২। তবে এর মধ্যে ৮০ জন পদোন্নতি করতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩৫১টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২৪৪টি শূন্য। এ কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা যেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে জ্যেষ্ঠ কোনো সহকারী শিক্ষককে দিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ১৮ জেলা শিক্ষা অফিসারের পদও শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো প্রধান শিক্ষকের সমমানের পদ।
তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে ২৪৪টি প্রধান শিক্ষক পদ ফাঁকা থাকলেও সব কয়টি এখনই পূরণ হবে না। কারণ, নিয়োগবিধি অনুসারে মোট শূন্য পদের ৮০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ হবে। তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের বয়সের শর্ত শিথিল করে পদোন্নতিযোগ্য শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২৬২। তবে এর মধ্যে ৮০ জন পদোন্নতি পাওয়ার আগেই অবসরে গেছেন। বাকি শিক্ষকরা পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, নিয়োগবিধি অনুসারে ফিডার পদ পূর্ণ না হলে পদোন্নতি দেওয়া যায় না। তবে সরকার চাইলে প্রমার্জন করেও পদোন্নতি দিতে পারে। এবার দুই বছর প্রমার্জন করায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।