পরীক্ষামূলকভাবে মুরাদনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১১ হেক্টর জমিতে প্রথম বারের মতো উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ভরে উঠেছে উপজেলার মাঠগুলো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার আন্দিকোট, পূর্বধইর পশ্চিম, বাঙ্গরা পূর্ব, কামাল্লা, যাত্রাপর, রামচন্দ্রপুর উত্তর, রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ, মুরাদনগর, নবীপুর পূর্ব, নবীপুর পশ্চিম, ধামঘর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া, টনকি মোট ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জন কৃষক ১১ হেক্টর জমিতে প্রণোদনার প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে এফ-১ (হাইব্রিট) জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
বাখরনগর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এই প্রথম ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। এটি শুধু একটি ফসলই নয়, জমিতে এসে অনেক মানুষ বিনোদনও নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। আশা করি, সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম বার কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হবেন। কৃষকদের এর তেল প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাতের করার ক্ষেত্রেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।