ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ঈদুল ফিতরকে সামনে সামনে রেখে এ সংখ্যা বেড়ে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। এদিকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন সহজে পার হলেও সীমান্তের ওপারে আগরতলা ইন্ট্রিগ্রেটেড চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন থাকায় দীর্ঘ সময় লাগছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাতে অনেক যাত্রীকে আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। বিজিবি তাদের গ্রহণ না করায় তারা আবার আগরতলা ইমিগ্রেশনে গিয়ে আটকা পড়েন। পরে বিজিবি-বিএসএফ এবং বাংলাদেশি ইমিগ্রেশনের আলোচনার মাধ্যমে রাত ৯টা থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরুর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ের শুধু মেডিকেল, ব্যবসা ও কূটনৈতিক ভিসাধারীরা এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ভ্রমণ ভিসা চালু হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ চালু হয়েছে ভ্রমণ ভিসাধারীদের জন্য স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার। ভারতে যাতায়াত অনেকটা সহজ হওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য জনপ্রিয় আখাউড়া স্থলবন্দর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন যাত্রী জানান, সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। বাংলাদেশি যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে, শুয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ইমিগ্রেশনের জন্য ত্রিপুরা সীমান্তে অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এই তীব্র জটের কারণে অনেকেই পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে পারেন নি। যাত্রীরা সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
আখাউড়া চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিকেল ৪ টার পর থেকে আখাউড়ায় ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে যারা আগরতলা চেকপোস্টে গিয়েছেন তাদেরকে ইমিগ্রেশন না করে ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করে। কিন্তু বিজিবি তাদের গ্রহণ না করায় তারা আবার আগরতলা ইমিগ্রেশনে গিয়ে আটকা পড়েন। পরে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের আলোচনা প্রেক্ষিতে আবার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ভ্রমণ ভিসা চালু হওয়ায় প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সর্বোচ্চ প্রায় আড়াই হাজার যাত্রী পারাপার হয়েছে। ঈদের পর এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা আমাদের তিনটি ডেস্ক এ যাত্রীদের সীমিত জনবল নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।