শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, স্বাস্থ্য সহকারী কারাগারে

আপডেট : ০৮ মে ২০২২, ২০:৪৬

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় একটি টিকাদান কেন্দ্রে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্মীকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (৮ মে) আব্দুল মমিন প্রামানিক (৪০)-কে নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্য সহকারীকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই অভিযোগে এদিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা সিভিল সার্জন। 

এর আগে গত শনিবার (৭ মে) রাতে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রাম থেকে তাকে পুলিশ আটক করে। আব্দুল মমিন প্রামানিক উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার মহেশপুর গ্রামের মৃত. ফজল উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির কেন্দ্রে টিকা (বয়ঃসন্ধি) প্রদান কার্যক্রম চলছিল। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মমিন প্রামানিক। বেলা ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসে। তাকে একটি কক্ষের ভিতরে টিকা প্রদান করা হয়। এরপর ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মমিন প্রামানিক ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন নির্যাতন করতে শুরু করে।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে আ. মমিন কক্ষ থেকে দ্রুত বাইরে চলে যান। পরে উপস্থিত লোকজন আ. মমিনকে আটকের চেষ্টা করলে তিনি গাঁ ঢাকা দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই এক অভিযান চালিয়ে মহেশপুর গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, আটক স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মমিন প্রামানিক বিরুদ্ধে রাতেই ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনুল ইসলাম মন্ডল জানান, এই অভিযোগে গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মমিন প্রামানিককে জেলা সিভিল সার্জন সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি