বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোটি টাকার সড়কে ১৫ দিনেই ধস!

আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৭:১৭

সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে গেছে সদ্য কার্পেটিং করা গুরুদাসপুরের বামনকোলার গ্রামীণ সড়কটির বেশ কয়েকটি স্থান। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোয়া কোটি টাকা বরাদ্দের এই সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের ফলেই সড়কটি এভাবে ভেঙে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মাস খানেক আগে নিম্নমানের খোয়া বিছানোসহ এজিং ও প্যালাসাইটিং নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। কার্পেটিংয়ের সময় এলাকাবাসী আপত্তি জানালেও তা না মেনে রাতের অন্ধকারে পিচ ঢালাই করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর সদরের গাড়িষাপাড়া ডাবলুর মোড় থেকে বামনকোলার আলতাবের মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সড়ক সংস্কার কাজটি নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তপন কুমার রায় পেলেও গুরুদাসপুরের স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। এই সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু অংশে ৩০০ ফিট প্যালাসাইটিংও রয়েছে। কাজটি চলতি মাসের ১৫ তারিখে শেষ হওয়ার কথা।

বামনকোলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের উপকরণে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে। অথচ কার্পেটিংয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই সড়কের বেশিরভাগ প্যালাসাইটিং অংশেই ধস নেমেছে।

আজিজুল হক, বল্টু ব্যাপারি ও আজগড় আলীসহ স্থানীয় অন্তত দশজন বাশিন্দা অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের খোয়া বিছানোর পর কার্পেটিংয়েও প্রায় একই মানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। 

সামান্য বৃষ্টিতেই ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের বাড়ির সামনে সড়কের প্রায় একশো ফিটজুড়ে পুকুরে ধসে পড়েছে। এছাড়া বামনকোলা মসজিদের কাছে ও বেশ কয়েকটি প্যালাসাইটিং অংশে সড়কের মাটি সরে গিয়ে পিচ এবং এজিংয়ের ইট ধসে গেছে। তারা বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব জায়গায় পুরো সড়কই ধ্বসে যাবে। একারণে দ্রুত সড়কটি সঠিকভাবে সংস্কারের দাবি তাদের।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মো. মিল্টন আহমেদ ইত্তেফাককে জানান, সড়কের যেসব জায়গা ধ্বসে গেছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার খবর তিনি শুনেছেন। ধসে যাওয়া জায়গাগুলো ঠিক করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। তাছাড়া সড়কটির সংস্কার ব্যয়ের টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এখনো দেওয়া হয়নি। সংস্কার কাজ বুঝে নিয়ে বিল ছাড়া হবে।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি