ইউএসএআইডি ইকোসিস্টেমের ২ কোটি ডলারের নতুন পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প প্রতিবেশ উদ্বোধন করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি ও ইউএসএআইডি-এর ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রামিংয়ের ইসোবেল কোলমেন যৌথভাবে এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। বুধবার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বন অধিদফতর, মৎস্য অধিদফতর ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
প্রকল্পটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল এবং জলাভূমি অঞ্চলগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় কাজ করবে বলে ও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেশ প্রকল্পটি মূলত দুটো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলকে প্রাধান্য দেয়। এরমধ্যে রয়েছে-রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি-ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্যময় স্বাদুপানির জলাভূমি। এই প্রকল্পটির সাহায্যে জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৃষি পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক দক্ষতা শিখে আয়ের ক্ষেত্র ও পরিমাণ বাড়িয়ে জীবিকার জন্য বন থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার মাধ্যমে কমিউনিটিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে সাহায্য করবে।
প্রকল্পটি দেশের প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও টেকসইভাবে সংরক্ষণের জন্য ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনপদের নেতৃত্বস্থানীয় মানুষদের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে আরও বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসইভাবে বন ও জলাভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য আগে বাস্তবায়ন করা কার্যক্রমগুলো থেকে শেখা বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে কমিউনিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতিবেশের কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে পরিচালিত হবে।
প্রতিবেশের সংরক্ষণ কার্যক্রম ও জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং অভিবাসন কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশের পক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন ও জীবিকার সংস্থান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলো মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরি হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত পঁচিশ বছরে ইউএসএআইডি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।