বার্সেলোনায় থাকার জন্য অর্ধেক বেতনেও রাজী ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা আর সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ২১ বছর পর বার্সেলোনা ছাড়তেই হলো তাকে। তাই বলে মেসির প্রতি আবেদন বিন্দুমাত্র কমেনি ফুটবল ভক্তদের। পিএসজিতে তাকে উৎসবের মতোই বরণ করে নেওয়া হয়।
৩৪ বছর বয়সেও মাঠ ও মাঠের বাইরে সমানতালে দাপট দেখাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বছরের সেরা ধনী ক্রীড়াবিদ এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
গত এক বছরে (মে ২০২১-মে ২০২২) ১৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন মেসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। এই অর্থের ৭৫ মিলিয়ন ডলার ফুটবল থেকেই কামিয়েছেন তিনি। বাকি ৫৫ মিলিয়ন ডলার এসেছে মাঠের বাইরের উপার্জন। যার মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন (অ্যাডিডাস, বুডউইসার ও পেপসিকো) থেকেই পান ২০ মিলিয়ন ইউরো।
ফোর্বসের তালিকায় দুইয়ে আছেন কিংবদন্তী বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমস। মেসির থেকে ৮.৮ মিলিয়ন ডলার কম আয় করেছেন তিনি। তালিকার তিনে মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ১১৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে মাঠের বাইরে (৫৫) রোনালদোর বেশিরভাগ উপার্জনই আসে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম থেকে। তাই তো আকাশ চুম্বী দাবি করে বসেন স্পন্সরদের কাছ থেকে।
রোনালদোর ঠিক পরের জায়গাটা নেইমারের। ফুটবলের বাইরে স্পন্সর থেকে আয় করার পাশাপাশি নেটফ্লিক্সে নিজের জীবনী নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টরী থেকেও উপার্জন করেছেন তিনি। সেরা দশের বাকিরা হলেন স্টিফেন কারি, কেভিন ডুরেন্ট, রজার ফেদেরার, কানেলো আলভারেজ, টম ব্র্যাডি ও জিয়ানিস আনতেতোকুমপো।
২০২২ সালে সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ
লিওনেল মেসি (ফুটবল)-১৩০ মিলিয়ন ডলার
লেব্রন জেমস (বাস্কেটবল)-১২১.২ মিলিয়ন ডলার
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ফুটবল)-১১৫ মিলিয়ন ডলার
নেইমার (ফুটবল)-৯৫ মিলিয়ন ডলার
স্টেফেন কারি (বাস্কেটবল)-৯২.৮ মিলিয়ন ডলার