ফরিদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বোতলজাত ও খোলা তেল মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে। এসময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ১২ হাজার টাকার জরিমানা ও একটি প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের শোভারামপুর এলাকার ব্যবসায়ী কানাই লাল পোদ্দারের গোডাউনে অভিযান চালায়। এসময় গোডাউন থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪ হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও ড্রামভর্তি ৮০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেল জব্দ করে।
ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সোহেল বলেন, ‘গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা হাজী শরীয়তউল্ল্যাহ বাজারে কানাই লাল পোদ্দারের দোকানে অভিযান চালাই। সেখানে তেল না পেয়ে তার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এই তেল জব্দ করি।’
তিনি বলেন, ‘সব তেলই অনেক আগে মজুদ করা। কারণ, প্রতিটি বোতলে আগের দাম উল্লেখ করা আছে। তেল জব্দের পরে খবর দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালীকে।পরে তিনি উপস্থিত হয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।’
এ সময় লিটন ঢালী জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে তেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি যদি এমন কাজ আবারও করবেন, এই মর্মে মুচলেকা দেন তাহলে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জব্দ তেলগুলো উপস্থিত জনতার মাঝে বোতলে লেখা দামে বিক্রি করা হয়।
এর আগে হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে খাদ্যদ্রব্যে উৎপাদনকারীর নাম না থাকায় শিকদার ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং দোকানে মূল্য তালিকা না টাঙানোর অপরাধে পূজা স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জব্দ তেলের ৫ লিটারের ক্যানে দাম লেখা ছিল ৭৬০ টাকা। ৭৬০ টাকায় ৫ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়ার খবরে গোডাউনের সামনে স্থানীয় নারী-পুরুষদের ভিড় জমে যায়। পরে তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে তেল বিক্রি করা হয়।