শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দিনাজপুরে বস্তাপ্রতি চালের দাম কমেছে ৪৫০ টাকা

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১২:০০

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতার এই বাজারে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে চালের দাম। প্রতি বস্তা (৮৪ কেজি) চালে প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। নতুন চাল ওঠায় এই দাম ধীরে ধীরে কমছে। 

সোমবার (১৬ মে) পৌর বাজারের পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। 

সরেজমিনে পৌর বাজারে দেখা যায়, খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের চালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। তবে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। 

চাল ব্যবসায়ী জয় প্রকাশ গুপ্ত বলেন, ‘চিকন চাল প্রতি বস্তায় (৮৪ কেজি) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কমেছে। চিকন চালের মধ্যে বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা সাড়ে ৩ হাজার থেকে৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে। মোটা চালের দাম কমেছে বস্তায় (৮৪ কেজি) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।’ চিকন চালের দাম আরও কমতে পারে বলে তিনি জানান।

আরেকজন ব্যবসায়ী পুনা প্রসাদ বলেন, ‘নতুন চাল বাজারে আসায় দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা এবং চিকন চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’ 

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, দেশে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতার মাঝেও অতি প্রয়োজনীয় চালের দাম কমাটা ভোক্তাদের জন্য সু-খবর। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারের জন্য এটি আনন্দের সংবাদ বলা চলে। স্থানীয়ভাবে চালের দাম কমে যাওয়ায় ভোক্তাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।’ 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব স্কুল শিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা জানান, ঈদের আগে রঞ্জিত জাতের চিকন চাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে কিনেছেন। এখন দাম কমায় তিনি ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দাম বৃদ্ধি ও অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। 

চাল ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার বলেন, ‘আমরা খুচরা চাল বিক্রেতারা দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে, খুচরা বাজারে এমনিতেই বেড়ে যায়। এখন নতুন চাল বাজারে ওঠায় দাম কমেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ক্ষেতের ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এসময় প্রায় প্রতি বাড়িতেই কমবেশি ধান উঠছে। কৃষি শ্রমিককেরাও ধান কাটা মাড়াইয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বাজারে কম আসছেন। এ কারণে সকালের দিকে চালের ক্রেতা কমে গেছে। তবে সন্ধ্যার দিকে ক্রেতার সংখ্যা কিছু বেড়ে যায়।’

ইত্তেফাক/এএইচ