শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘোড়াঘাটে হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১৪:১৪

প্রতি বছরের মতো এবারও জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই দিনাজপুরের প্রতিটি অঞ্চলের লিচু বাগানে লাল রঙের আভা ছড়িয়ে পরতে শুরু করেছে। সেই সাথে বাজারেও এসেছে এসব লিচু। তবে সময় হওয়ার পূর্বেই লিচুর রাজ্য দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় দেখা মিলছে এসব অপরিপক্ক আগাম লিচুর। তবে স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও, সৌন্দর্যে নজর কেড়েছে ক্রেতাদের। পুরোপুরি পরিপক্ব হয়নি এসব লিচু। স্বাদে টক, আকারে মাঝারি, ভেতরে বিচিও অনেকটা বড়, দামও বেশি। এরই মধ্যে বাজার দখল করতে শুরু করেছে এসব লিচু। 

গত এক সপ্তাহ ধরে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে এসব লিচুর। বেশি লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই বাজারে নিয়ে আসছেন অপরিপক্ক এসব লিচু। তবে মৌসুমের ফল হিসেবে ক্রেতাদের কাছে এ লিচুর অনেকটা চাহিদাও রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড, আজাদমোড়, পুরাতন বাজার ও ওসমানপুর বাজারে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের দুই পাশের ফলের দোকানগুলোতে লিচুর পসরা সাজিয়ে বসে আছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা। সবুজ পাতার নিচে মোড়ানো কাঁচা-পাকা সবুজ-লাল আভার মাদ্রাজি ও চায়না-৩ জাতের লিচু। লিচুর পসরা সাজানো এসব দোকানে আগাম লিচু দেখে ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রতি ১০০ টি লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।  

ক্রেতারা বলছেন, 'স্বাদ হয়ত খুব একটা ভালো হবে না হলেও বছরের নতুন ফল হিসেবে লিচু কিনছি।' আবার কেউ না কিনেই ফিরে যাবার সময় বলছেন, এসব লিচু অপরিপক্ক। লিচুর ভিতরে বড়বড় বিচি ছাড়া মাংস নেই। টাকা দিয়ে এসব লিচু কেনা মানে বোকামি ছাড়া কিছু নয়। অপরদিকে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসায়ী হিসেবে যখন যে ফল বাজারে ওঠে তাই বিক্রি করি। এ সময়ে স্বাদ যেমনই হোক বাজারে লিচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে লিচু বাগান লীজ নেয়া ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বছর লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। আমরা যারা লিচু চাষ করেছি, তাদের লোকসান ছাড়া লাভের কোন সম্ভাবনা নেই। 

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান, উপজেলায় প্রায় ৬৩ হেক্টর জমিতে ৬৬০ জন চাষী লিচুর চাষ করেন। ছোট-বড় মিলিয়ে লিচুর বাগান রয়েছে প্রায় ১৬০টি। এসব বাগান থেকে বছরে প্রায় ৪৫২ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়। মাটি ও আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে কিছু জাতের লিচু ইতিমধ্যে পূর্ণ পরিপক্ব হয়েছে। আর কয়েকদিন পর থেকে প্রায় সব জাতের লিচু পাকা শুরু হবে। তবে কিছু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে অপরিপক্ক লিচুর রং পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে আমরা বাজার মনিটরিং করছি এবং প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 

ইত্তেফাক/এআই