শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চট্টগ্রাম টেস্ট

৬৮ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ

আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৭:৪৮

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৬৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার চতুর্থ দিনে ১৭১ তম ওভার শেষে ৪৬৫ রানের ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

দিনের শুরুতে মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রান টপকে যায় টাইগাররা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরেই ছন্দপতন হয়েছিল টাইগারদের। বদলি কাসুন রাজিথার করা পরপর দুই বলে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন শতকের পথে হাটা লিটন দাস ও রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা তামিম ইকবাল। তবে এক প্রান্ত আগলে মুশফিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তার সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান।

টানা দুই সেশন ব্যাট করা লিটন দাস ক্যারিয়ারের আরেকটি শতক থেকে মাত্র ১২ রান দূরে ছিলেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর টেস্টে নিজের তৃতীয় শতক তুলে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেবেন আরও, তেমনটাই প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে সেই আশায় গুঁড়ে বালি! বিরতির পর প্রথম বলেই নিজের উইকেট উপহার দিয়ে ৮৮ রানে সাজঘরের ফেরেন লিটন। তার পরের বলেই রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা তামিম ইকবালও রাজিথার শিকার হয়ে ফিরে যান আগের দিনের করা ১৩৩ রানেই। এরপরই ফেরেন ৪৪ বলে ২৬ করা সাকিব।

৩৯ রানের লিড নিয়ে বিরতি কাটিয়ে মুশফিক ১০৪ এবং নাঈম হাসান ৪ রান নিয়ে আবার ব্যাটিং শুরু করেন। তবে ফিরে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিক। লাসিথ এম্বুলডেনিয়ার করা বলটি লেগ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করে, সেটি প্যাডল সুইপ করেন মুশফিক। কিন্তু ব্যাটে খেলতে পারেননি। তার ইনিংস থেমে যায় ১০৫ রানে। এরপর একই পথ ধরেন নাঈম। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অফ স্টাম্পের বল ব্যাটে লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট লেগে কুসল মেন্ডিসের হাতে। ৫৩ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন নাঈম। তাইজুল ইসলাম প্রতিরোধ গড়ায় চেষ্টা করলেও সফল হননি। তার ইনিংস কাটা পড়ে ২০ রানে, অসিথা উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

শেষ জুটিতে রান কিছুটা বাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছিলেন শরিফুল আর খালেদ আহমেদ। তবে ইনিংসের ১৭১তম ওভারে হাতের আঘাতে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শরিফুলকে। এতে আর কোনো ব্যাটসম্যান অবিশিষ্ট না থাকায় ৪৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ দল। 

এর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে অলআউট হয়েছে। সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এক রানের জন্য ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে নাঈম হাসানের বলে আউট হন তিনি। এছাড়া দিনেশ চান্দিমাল ৬৬, কুশাল মেন্ডিস ৫৪, ওশাদা ফার্নান্দো ৩৬ ও ভিশওয়া ফার্নান্দো ১৭ রান করেন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেছেন নাঈম হাসান। ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০৫ রান খরচায় উইকেটগুলো নেন তিনি, ইকোনোমি ৩.৫০। তবে সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি ৩০ ওভার বল করে ৩ উইকেট শিকার করেন। মাত্র ১.৫৩ ইকোনোমিতে ৬০ রান খরচ করেছেন এই অলরাউন্ডার। অন্য উইকেটটি নেন তাইজুল ইসলাম। 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি