গতকাল ফিকামলি সেন্টার প্লাটিনাম জিম প্রাঙ্গণে যুবলীগ এর সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষযক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি, ঢাকাস্থ বাগেরহাট সমিতির সুযোগ্য সাধারন সম্পাদক, মোতালেব প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক স্মরণে মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শফিক মেমোরিয়াল ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জনাব সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিসেস নাজমা আক্তার । সভায় সভাপতিত্ব করেন ফিকামলি তত্ত্বের জনক, ওয়াইল্ড লাইফ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল ওয়াদুদ।
স্মরণসভায় ড. ওয়াদুদ বলেন— আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়া ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের স্মরণ করা আমাদের বেঁচে থাকা নেতাকর্মীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এতে কোন ক্ষতি নেই, লাভ বেশি। তাদের আত্মত্যাগ সংগ্রাম, বীরত্ব গাঁথা বর্তমান প্রজন্মের নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেয়, অনুপ্রেরণা যোগায়। এতে দল শক্তিশালী হয়। তাই বেশি বেশি স্মরণ সভার আয়োজন করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ নিবেদিত নেতাকর্মীদের স্মরণ করে ড. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন— আমার নিজেরও স্মরন সভা হতে পারত। ১৯৮৪ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারী যেদিন সেলিম—দেলোয়ার ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়। ঐ মিছিলে আমি আহত হয়ে একমাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছি।
প্রতি বছর আমার রুমমেটের স্মৃতি রাখার জন্য এ দিবসটি আমি পালন করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দিবসে আমাকে প্রতি বছর বানী প্রদান করে কৃতজ্ঞচিত্তে আবদ্ধ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের গতিধারায় দেশ আজ এগিয়ে চলছে। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে বিশ্ববাসী। হিমালয়ের মতো তার উন্নয়ন। আকাশচুম্বী তার উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর হাজারো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল আমরা ভোগ করতে পারছি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল তা চোখে দেখছে না। তাদের চোখে ছানি পড়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গেছে। কে, কখন, কোনকালে শুনেছে গৃহহীনদের রাষ্ট্র বাড়িঘর করে দেয়? জন নেত্রী শেখ হাসিনা গরীব অসহায়দের মাঝে তা করে দিয়েছেন। কার এমন সাহস আছে বিশ্বব্যাংক কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মার উপর এত বড় সেতু করার? শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন। ভাবতেই অবাক লাগে রাস্তায় গাড়ি উপরে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, এক সময় এ ছিল আমাদের স্বপ্ন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে তার সফল বাস্তবায়ন দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। মানুষ ভোটও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে। কিন্তু একটি ষড়যন্ত্র কারীরা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ব্যর্থ পায়তারা করছে। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। কিছু সংখ্যক জ্ঞানপাপী বিদেশের মাটিতে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে সদা প্রস্তুত থাকার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
এরকম যোদ্ধা আমাদের মধ্যে আছে বলেই অপশক্তি মাথাচাড়া দিতে পারে না। তিনি আরো বলেন আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি পিতা—মাতা সবাইকে হারিয়েছেন। তার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নাই। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন— দেশের ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন— বিশ্ব মানবতার মা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিশাল এক রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। করোনা থেকে আমাদের বাঁচাতে দ্রুত সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অকালপ্রয়াত সফিককে নিয়ে তিনি স্মৃতিচারণ করে। বিএনপি, জামাত—শিবির, নেতাকর্মীরা সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন এসব ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে আমরা সদা প্রস্তুত আসি। আমরা সদা প্রস্তুত আছি। আলোচনা শেষে শফিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনা করে দোয়া ও মিলাদ আনুষ্ঠিত হয়।