শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কিশোরগঞ্জে নদীর চরে চিনাবাদামের চাষ 

আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৩:৩৮

পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফসল চিনাবাদাম। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এই প্রথম হচ্ছে চিনাবাদামের চাষ। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্লট প্রদর্শনী'র মাধ্যমে বারি চিনাবাদাম-৮ জাতের বীজ ও সার সরবরাহের মাধ্যমে এর চাষাবাদে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানো স্বপ্ন বুনছেন। 

রোগবালাই, উৎপাদন খরচ কম, বাজার মূল্য ভালো, বিপণনে ঝামেলাবিহীন, বালুচরসহ আলু, ভুট্টা'র জমিতে সহজে চাষযোগ্য হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা শাহ্ পাড়া গ্রামে'র কোল ঘেঁষে বহমান যমুনেশ্বরীর নদীর বুকে জেগে ওঠা চড়ে চিনাবাদামের চাষ হয়েছে। নতুন এ ফসলকে ঘিরে উৎফুল্ল কৃষক। কৃষকরা মনের আনন্দে চিনাবাদাম ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

চিনাবাদাম চাষি মিরা খাতুন, যাদু মিয়া জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো আমরা ৩৩ শতাংশ করে ৬৬ শতাংশ জমিতে চিনাবাদাম চাষ শুরু করেছি। অনাবাদী, ধু-ধু বালু চরে এমন বাদাম হবে এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। বর্তমানে বাদাম ক্ষেত দেখে আশা করছি বাদামের ভাল ফলন হবে।   

বাদামচাষি ফজলুর রহমান বলেন, বিঘা প্রতি বাদাম রোপণ থেকে উত্তোলন পর্যন্ত খরচ হবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। যা প্রতি বিঘায় ফলন হবে ২-৩শ কেজির মতো। 

পাশাপাশি পুটিমারী ইউপি'র সাধুপাড়া গ্রামের কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায়, বড়ভিটা মেলাবর গ্রামের বিসাধু বর্মন তারাও ৩৩ শতাংশ করে বালু মিশ্রিত জমিতে চিনাবাদামের চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। 

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, অনাবাদী, নদীর চর এলাকার মানুষকে বীজ, সার দিয়ে বাদাম চাষে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। 

ইত্তেফাক/এআই