রংপুর চিড়িয়াখানায় সঙ্গীহীন উটপাখিটি আবার ডিম দিয়েছে। শনিবার (২১ মে) একটি ডিম দিয়েছে। এর আগে গত কয়েক দিনে আরও দুটি ডিম দিয়েছে পাখিটি।
দুই বছর ধরে একটি খাঁচায় পাখিটি ডিম পাড়লেও পুরুষ সঙ্গীর অভাবে বাচ্চা ফুটছে না। এত দিনে পাখিটি কমপক্ষে ১০/১২টি ডিম দিয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ডিম ভেঙে শুধু খোসা সংরক্ষণ করে রাখছে। অনেকেই বলছেন, উটপাখিটির বংশবিস্তারের জন্য দ্রুত একটি পুরুষ সঙ্গী আনা প্রয়োজন।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৬ মাস বয়সী এক জোড়া উটপাখি আনা হয়। দেড় বছর একসঙ্গে থাকার পর পুরুষ সঙ্গীটি দুই বছর আগে মারা যায়। তখন থেকেই খাঁচায় একা দিন কাটছে পাখিটির।
জানা গেছে, আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের তৃণভূমি উটপাখির মূল বিচরণস্থল। বিশ্বের অনেকস্থানে এই পাখি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বিশ্ববাজারে এর চামড়া, মাংস, পালক ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এরা পোকামাকড় খায়। উড়তে না পারলেও ৭০ কিলোমিটার বেগে দৌঁড়াতে পারে। অঞ্চলভেদে প্রজননে ভিন্নতা রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি পুরুষ তার নিজস্ব এলাকা দখল করে দুই থেকে সাতটি স্ত্রী উটপাখির সঙ্গে থাকে এবং বংশ বিস্তার করে।
উটপাখির গড় উচ্চতা প্রায় তিন মিটার। দেহের ওজন ১৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে। এদের আছে বিশাল দুটি পাখা। পুরোটা মেলে ধরলে এর দৈর্ঘ্য হয় প্রায় সাত ফুট। পুরুষ উটপাখির পাখার রঙ কালো হয় এবং সঙ্গে থাকে সাদা লেজ। স্ত্রী পাখির পাখার রঙ ধূসর বাদামি। ৫০ থেকে ৭০ বছর উৎপাদনক্ষম থাকে এবং এরা ৮০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
রংপুর চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শাহাদৎ হোসেন বলেন, 'পাখিটি ডিম দিয়েছিল। কিন্তু পুরুষ সঙ্গী না থাকায় ডিমগুলো ফোটেনি। তাই ডিমের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে শুধু খোসা সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।'